এ্যালোভেরার #অপকারিতা-
যে কোন জিনিসেরই সুবিধা -অসুবিধা আছে।
এ্যালোভেরাও তার ব্যাতিক্রম নয়..
তাই আজ এ্যালোভেরার অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক সমূহ নিয়ে জানার চেষ্টা করবো..
এ্যালোভেরার পরিচিতিঃ
বাংলা- ঘৃত কুমারী।
স্বংস্কৃত-মহাসার,কুমারী সম্ভব, বীরস্রাব।
হিন্দি -মুছাব্বর,এল্ওয়া।
আরবী -ছিবর।
ইংরেজী-Aloes.
যে সব ক্ষেত্রে এ্যালোভেরা সেবন নিষিদ্ধঃ-
★ গর্ভ কালীন সময়ে এ্যালোভেরা ব্যাবহার নিষিদ্ধ-
এ্যালোভেরায় স্রাব কারক ও গর্ভপাত গুন থাকায় গর্ভের ভ্রুন/বাচ্চা নষ্ট হতে পারে।
বাচ্চাঅঙ্গ হানি নিয়ে জন্মাতে পারে,
জন্মগত ত্রুটি থাকতে পারে।
মায়ের জ্বরায়ু গত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
★পিরিয়ড কালিন সময়ে এ্যালোভেরা নিষিদ্ধ-
পিরিয়ডের সময় এ্যালোভেরা সেবন করলে রক্ত ক্ষরণ, ক্ষরন কালীন সময় বেশী হতে পারে।
জ্বরায়ু গত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কোমর ব্যথাসহ নানা রকম জটিলতা দেখা দিতে পারে।
★রক্ত প্রদর গ্রস্হা স্ত্রী লোকের এ্যালোভেরা নিষিদ্ধ -
যে সব মেয়ের রক্ত প্রদর রোগ আছে,তাদের এ্যালোভেরা সেবন নিষেধ।
ওই সময়ে এ্যালোভেরা সেবন করলে রক্ত ক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে,
নানান শারিরীক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
★যাবতীয় রক্ত ক্ষরণ জনিত রোগে এ্যালোভেরা নিষিদ্ধ-
যে কোন কাটা,ছেঁড়া,রক্ত পাত,এ্যাকসিডেন্ড যাতে রক্ত ক্ষরণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে,
অপারেশন কালীন সময়ে,ড্রেসিং কালীন সময়ে,রক্ত আমাশয়ে এ্যালোভেরা সেবনে রক্ত ক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে,
তাই এসব ক্ষেত্রে এ্যালোভেরা নিষিদ্ধ।
★কিডনী রুগিদের এ্যালোভেরা সেবন নিষিদ্ধ-
যে সব লোক কিডনী রোগে আক্রান্ত, কিডনি ডায়ালাইসিস,পেসাবের সাথে রক্ত যাওয়া সহ বিভিন্ন কিডনি জটিলতা আছে তারা এ্যালোভেরা সেবন করলে, পেসাবের সাথে রক্ত ক্ষরণ সহ বিভিন্ন জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই কিডনি রুগিদের জন্য এ্যালোভেরা নিষেধ।
★ডায়রিয়া/পাতলা পায়খানা রোগে এ্যালোভেরা নিষিদ্ধ-
এ্যালোভেরার ভেদক গুন থাকায় ডায়রিয়া কালিন সময়ে এ্যালোবেরা সেবন করলো পাতলা পায়খানা জনিত সমস্যা বেড়ে যেতে পারে,
কিডনী বিকল হতে পারে।
তাই ডাইরিয়া কালীন সময়ে এ্যালোভেরা সেবন নিষেধ।
★এ্যালোভেরার মাদারজাত নীতিঃ
অগ্নিবর্দক,পিত্ত নিঃসরক,বলকারক,ভেদক,মলরোদক,
রজস্রাবক,গর্ভপাতক,মৃদু রেচক, বীর্য বর্দক,ধারক,
গুহ্যদেশে ক্রিয়া প্রকাশক,
ক্রিমি নিঃসারক, শ্লৈষ্মিক জ্বর,প্লীহা,অগ্নি মন্দা নাসক।
★বিশেষ সতর্কতাঃ আজকাল নেটি দুনিয়ায় গুগল, ইউটিউব, অপেরা মিনি,ফেবু সহ বিভিন্ন মাধ্যমে আম পাবলিক শুধু এসব ঔষধী পন্যের সুবিটাই শুনে,দেখে,
ফলে অজান্তেই বড় মাপের ক্ষতির মুখে পতিত হয়,হচ্ছে।
যা শুধুমাত্র ও-ই সমস্ত চ্যানেল,পেইজের গতি বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই বলে মনে করি না।
সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের ক্লিনিকে যে সমস্ত অতিউৎসাহী কারনে সমস্যায় পতিত হয়ে এসেছেন,
তাদের বেশিরভাগই
জাফরান,এ্যালোভেরা,মাজুফল সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক ঔষধী শোধন ছাড়া সরাসরি ব্যাবহারের ফল বলে মনে করি।
তাই আমাদের সকলের অবশ্যই জানা দরকার,
যে সব জিনিসের সুবিধা আছে, সে সব জিনিসের অসুবিধা আরো বেশী।
স্যার #নিউটনের তৃতীয় সূত্র।
আর এসব শোধন ছাড়া সরাসরি ব্যাবহার হয় না।