অ্যাকনে প্রবলেম নিয়ে ঝামেলায় পড়েন নি এমন কাউকে মনে হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। অ্যাকনে চলে যাওয়ার পরেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় মুখে থেকে যায় অ্যাকনে স্কার । সাধারনত এই অ্যাকনে অথবা পিম্পলের স্কার অথবা কালো দাগ তখনই দেখা যায়, যখন সেটি নখ দিয়ে খোঁচানো হয়। সিস্টিক অ্যাকনের কারণে সাধারণত এমন হাইপার পিগমেন্টশন দেখা দেয় যে সেটি মাসের পর মাস, এমনকি কয়েক বছর ও থেকে যায়। এমন দাগ এবং স্কার অনেক ক্ষেত্রেই একজনের কনফিডেন্সকে ভেঙ্গে দেয়। আপনি যদি এই সমস্যার ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন এবং অনেক কিছু ট্রাই করেও যদি কোন রেজাল্ট না পান, তবে সেক্ষেত্রে লেজার ট্রিটমেন্ট হতে পারে আপনার আলটিমেট সল্যুশন। লেজার ট্রিটমেন্ট অ্যাকনে স্কারসের উপর কিভাবে কাজ করে ও বিভিন্ন ধরনের লেজার ট্রিটমেন্ট নিয়েই আমার আজকের আলোচনা। চলুন তবে দেখে নেই……
বিভিন্ন ধরনের লেজার ট্রিটমেন্ট
১) আই পি এল
পিম্পল বা ব্রণের ক্ষেত্রে লেজার ট্রিটমেন্টের একটি অপশন হলো ইন্টেন্স পালস লেজার অথবা আই পি এল। এই লেজার লাইট এর সাহায্যে ডার্ক স্পটকে রিমুভ করে থাকে, যা স্কিনের আনইভেন টেক্সচারকে ইভেন করে। আই পি এল লেজার অ্যাকনে বা পিম্পলের দাগ ছাড়াও স্কিনের বলিরেখা বা রিঙ্কেল, বয়সের ছাপ এবং ত্বকের অসামঞ্জস্য রঙকেও ট্রিট করে থাকে।
২) ফ্র্যাকশনাল লেজার
ফ্র্যাকশনাল লেজার কাজ করে স্কিনের উপর ছোট ছোট জোন অথবা অংশ তৈরি করে, যেটিকে সচরাচর বলা হয় মাইক্রো থার্মাল জোনস। এই ছোট ছোট অংশগুলো ধীরে ধীরে পুনরায় আগের পর্যায়ে চলে আসতে থাকে। এই ফ্র্যাকশনাল লেজারে স্কিনের হিলিং প্রসেস অপেক্ষাকৃত দ্রুত হয়ে থাকে। খুব গভীর অ্যাকনে স্কারের জন্য এটি সব থেকে কার্যকরী ট্রিটমেন্ট।
এই সময়ে সাধারণত টপিক্যাল অ্যানেসথেটিক দিয়ে প্রসেসটি শুরু করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, খুব সামান্য ব্যথা অনুভব হয়, অনেকটা সুঁই ফোটানোর মত অথবা রোদে ত্বক জ্বালা করার মত। পরবর্তি সময়ে কসমেসিউটিক্যাল স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ও ট্রিটমেন্ট পরবর্তী রিকভারিতে সাহায্য করে থাকে।