স্নানে লেবুপানি
স্নানে লেবুর ব্যবহার পাল্টে দিতে পারে চুল ও ত্বক পরিচর্যার উপকারিতা। স্নানের সময় নানা রকম উপকরণের ব্যবহার চোখে পড়ে। সাবান, শাওয়ার জেল, বডিওয়াশ থেকে শ্যাম্পু—সৌন্দর্যচর্চা বা গোসলের জরুরি অনুষঙ্গ। ব্র্যান্ডভেদে এগুলোতে ব্যবহৃত হয় নানা রকম উপাদান। কিন্তু একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, লেবু দিয়ে তৈরি অন্তত একটা না একটা প্রসাধনী সব ব্র্যান্ডেরই আছে। এত উপাদান থাকতে লেবু কেন! লেবুর সুঘ্রাণটাই মূলত জনপ্রিয়তার কারণ।
লেবু শরীর সতেজ রাখে। শুধু নানা রকম পণ্যে লেবুর ব্যবহার নয়, সরাসরি লেবু দিয়েও গোসল করতে পারেন। তাতে উপকার মিলবে আরও ভালো। গোসলের সময় লেবুর খোসা বা রস—সবই উপকারী, সৌন্দর্যে সহায়ক। ত্বকের সৌন্দর্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। সারা দিন চনমনে থাকতে গোসলে লেবুর বিকল্প কিছু ভাবাও কঠিন। নিয়ম মেনে স্নানে লেবুপানি ব্যবহার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
এ তো গেল ত্বকের যত্ন। চুলের পরিচর্যায়ও এর উপকারিতা অনেক। খুশকি সরানোর পাশপাশি চুলের তেলতেলে ভাব কাটায়, করে তোলে ঝলমলে উজ্জ্বল। লেবু যেহেতু প্রাকৃতিক উপাদান, তাই এটা ত্বকে বা চুলে ব্যবহারের আগে যাচাই করে দেখে নেওয়া প্রয়োজন। প্রতিক্রিয়া বিরূপ হলে এড়িয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
উপকারিতাগুলো জেনে নেওয়া যেতে পারে আগেভাগে। তৈলাক্ত ত্বক যাঁদের, তাঁদের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব কাটিয়ে উঠতে লেবু সহায়ক। এমন ত্বকে স্নানের পানির সঙ্গে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করা গেলে দেখবেন ত্বক ক্রমেই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সঙ্গে শরীরে যোগ হবে বাড়তি সতেজ ভাব, যা টিকে থাকবে দিনভর। আপনার ইন্দ্রিয়গুলোকেও রাখবে সজাগ। যাঁদের শরীরে দুর্গন্ধ হয়, তাঁদের জন্য লেবুপানিতে স্নান দারুণ সমাধান। এর অ্যাসিডিক, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রোপার্টি বাজে গন্ধ দূর করতে জাদুর মতো কাজ করে। লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড ত্বকের ছোপ ছোপ দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
স্নানের জলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকে বলিরেখা পড়বে না সহজে। বলিরেখা কাটিয়ে উঠতে এই দাওয়াই ব্যবহৃত হয়ে আসছে বহু বছর আগে থেকে। গরমের দিনে লেবুপানির গোসল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কারও ত্বকে যদি বড় বড় লোমকূপ থাকে, তা পরিশোধিত ও সংকুচিত হতে পারে লেবুর খোসাযুক্ত পানিতে গোসল করলে।
লেবুর পানিতে স্নান এত এত উপকারিতা জেনেও নিশ্চয়ই আপনি হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না। আজ থেকেই শুরু করতে পারেন সৌন্দর্যের এই নতুন যাত্রা। নিজেকে সুস্থ রেখে এগিয়ে চলুন সতেজভাবে।