#মেছতার_অাধুনিক_চিকিৎসা
মুখের কালো দাগ মানেই মেছতা নয়। সব কালো দাগই যে ভালো হবে এটাও বলা সঙ্গত নয়। তবে অধিকাংশ মেছতা চিকিৎসায় পজেটিভ ফলাফল পাওয়া যায়।
মেছতার কারণ : অনেক ক্ষেত্রেই সুস্পষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না, হরমোনের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত। জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি, ইস্ট্রোজেন হরমোন গ্রহণ, গর্ভাবস্থা, সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি মেছতার অন্যতম কারণ। জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলেই মেছতা হবে এমন কোনো কথা নেই। জীবনে একদিনও এই বড়ি খাননি অথচ তাদের মুখেও মেছতার দাগ হতে দেখা গেছে। মেছতার দাগ আছে এমন কেউ যদি চিকিৎসা করাচ্ছেন অথচ জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি খাওয়া বন্ধ করেননি, তার ক্ষেত্রে এর থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম।
মেছতার প্রকারভেদ
এপিডারমাল : ত্বকের বহিস্তরের উপরিস্তরে বিদ্যমান থাকে। চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণ সারিয়ে তোলা সম্ভব।
ডারমাল : যা ত্বকের বহিস্তরের নিচের স্তরে বিদ্যমান থাকে। চিকিৎসায় খুবই ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
মিশ্রিত : যা ত্বকের অন্তস্তক ও বহিস্তকজুড়ে বিদ্যমান থাকে। এ ধরনের মেছতায় অনেক সময় ফলাফল ভালো আসে না।
মেছতা কোন স্থানে হয় : সাধারণত গালের ওপরের অংশেই এটা বেশি হয়ে থাকে। তবে চোয়ালে, নাকের উপরে ও কপালেও হতে দেখা যায়। মেছতা ত্বকের কোন স্তর পর্যন্ত বিস্তৃত তা ডড়ড়ফং খধসঢ়-এর মাধ্যমে পরীক্ষা করে ধারণা পাওয়া যায়।
বর্তমান ও আধুনিক চিকিৎসা : বর্তমানে কড়লরপ ধপরফ ও অুবষরপ অপরফ এর ব্যবহারও শুরু হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে এতে বেশ সুফলও পাওয়া যাচ্ছে। এ ওষুধ ত্বকের চরধসবহঃ বা রঞ্জন পদার্থ ধ্বংস করে। কিন্তু ত্বকের কালো দাগ যদি সূর্যের আলোক রশ্মির সংস্পর্শে আসে, তবে সেক্ষেত্রে চিকিৎসা করেও তেমন সন্তোষজনক ফলাফল আনা সম্ভব নাও হতে পারে। দিনের বেলায় বাইরে চলাচলের সময় সানব্লক ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে হবে। বাইরে যাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে এই সানব্লক মুখে মেখে নিতে হবে।