সিগারেট প্যাকেটের গায়ে " ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, হৃদ রোগ ঘটায়, ফুসফুস ক্যান্সারেরে কারণ " এমন অনেক সতর্কবাণী লেখা থাকে।
বিগত দশক থেকে প্রায় দ্বিগুণ দাম বেড়েছে তামাকজাত দ্রব্যের, প্যাকেটের গায়ে এমন সতর্কবাণী লেখা থাকা স্বত্বেও দিন দিন ধূমপায়ীর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
এমন কি তা শহর পেড়িয়ে গ্রামেও ছাপিয়ে গেছে।
আগের দিনে যে সব উঠতি বসয়ের তরুণরা ধূমপান করতো, তারা এটলিস্ট সামাজিক মর্যাদা বা বড়োদের ভয়ে বা পরিবারে বিচার যাওয়ার ভয়ে হলেও লুকিয়ে লুকিয়ে ধূমপান করতো তাও মাঝে মাঝে বা বিশেষ কোন দিনে।
আর এখন সম্পূর্ণ উল্টো, পথে ঘাটে, গ্রাম গন্জে সব জায়গাতেই চলে প্রকাশ্যে ধূমপান।
এখনকার দিনের তরুন তরুনীরা আধুনিকতার পিছনে ছুটছে, তারা ধূমপান কে স্মার্টনেসের অংশ ভাবে। আর যে সকল তরুণ ধূমপান করে না তাদের ভাষায় তারা ক্ষ্যাত, আনস্মার্ট।
তারা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, পাবলিক প্লেস বা পাবলিক পরিবহনেও ধূমপান করে এবং আধুনিকতার বহিঃপ্রকাশ করতে ধূমপানরত ছবি সামাজিক মাধ্যমে দেয়।
যদিও আমাদের দেশে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষেধ এবং রয়েছে (৩০০ টাকা) জরিমানার বিধান। ( তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ [সংশোধিত ২০১৩] এর ধারা নং ৪)
যাদের উপর এই আইন কার্যকর করার দায়িত্ব তারা নিজেরাই প্রকাশ্যে ধূমপান করে ( রক্ষক যখন ভক্ষক)।
ধূমপায়ী তরুণ তরুণীর বেশির ভাগই ১৮ বা তার কম বয়সের, যদিও আইনত ১৮ বা তার কম বয়সের কারো কাছে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রিয় নিষেধ এবং তা করলে ৫০০ টাকা জরিমানা। { ৬(ক) নং ধারা}।
এই সিগারেট দিয়েই শুরু হয়, তারপর দিন দিন তারা মাদকাসক্ত হয়ে যায়, মাদকের টাকা যোগাতে লিপ্ত হয় ছিনতাই, চুরি, খুনসহ নানা অপকর্মে। এমন কি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নিজের বাবা মা কে হত্যা করার মতোও জঘন্য অপরাধ ঘটেছে।
এখনই সময় এর লাগাম টেনে ধরার, আইন গুলো খাতা কলমে না রেখে বাস্তবায়ন করার, নিজের সন্তান এবং সমাজকে মাদকের করাল গ্রাস থেকে বাচানোর৷