বাংলাদেশ ও ৪র্থ শিল্পবিপ্লব
বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তিতে অনেক ভাল করেছে এবং বর্তমান বিশ্বের আধুনিক সব তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীর প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতেও প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সরকারী এবং বেসরকারী খাতকে সমানভাবেই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরেও ই-গবর্নেন্স, সার্ভিস ডেলিভারি, পাবলিক পলিসি এ্যান্ড ইমপ্লিমেনটেশন, তথ্যপ্রযুক্তি, বিকেন্দ্রীকরণ, নগর উন্নয়ন ও পরিকল্পনা এবং এসডিজি বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ ও প্রশাসনিক নীতি কৌশল নিয়ে বাংলাদেশের সরকারী কর্মকর্তাদের ক্লাউড সার্ভার, ইন্টারনেট অব থিংস (IoT), কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের পরপরই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের বেতবুনিয়ায় একটি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র চালু করেছিলেন।
১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ আবার সামনে এগিয়ে যেতে শুরু করে। বাংলাদেশ এখন দুটি সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে সংযুক্ত, তৃতীয় সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে কানেক্টিভিটির কাজ চলছে। সঙ্গে সঙ্গে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আকাশে স্যাটেলাইট উড়িয়েছে। ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং অত্যাধুনিক হাইটেক পার্ক নির্মাণের মাধ্যমে আগামীর বিশ্বকে বাংলাদেশ জানান দিচ্ছে যে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দিতে বাংলাদেশও প্রস্তুুত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এশিয়ান টাইগার বলে পরিচিত। বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ, ওগঋ সহ সবার প্রতিবেদনেই আমরা দেখি আগামীর বিশ্বের নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আমাদের হাইটেক পার্কগুলো হবে আগামীর সিলিকন ভ্যালি। ইতোমধ্যে ৬৪টি জেলার ৪,৫০১টি ইউনিয়ন পরিষদের সবটিই ডিজিটাল নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকারের প্রধান সেবাসমূহ বিশেষ করে ভূমি নামজারি, জন্ম নিবন্ধন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বা চাকরিতে আবেদন ইত্যাদি ডিজিটাল পদ্ধতিতে নাগরিকের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি মৌলিক সেবাসমূহ প্রদানের বিষয়টিকে আরও সহজ ও সাশ্রয়ী করে তুলেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে আরও কর্মক্ষম বাংলাদেশ, আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বাংলাদেশ, আরও ন্যায়সঙ্গত বাংলাদেশ, আরও অধিকতর শক্তিশালী ও সমৃদ্ধতর বাংলাদেশ।