অন্য দেশের তুলোনায় উচ্চ শিক্ষায় আমরা অনেক পিছিয়ে নিন্মে আলোচনা করা হলঃ
বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষাঃ
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পাসের পর মেধা ও যোগ্যতা অনুসারে মহাবিদ্যালয়ে ৩ বছরের স্নাতক ডিগ্রি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ বছরের স্নাতক ডিগ্রি (সম্মান) কর্যক্রমে ভর্তি হয়। যেসব শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি পাস কার্যক্রম থেকে স্নাতকোত্তর কার্যক্রমে ভর্তি হয় তাদের জন্য স্নাতকোত্তর ডিগ্রির মেয়াদ ২ বছর এবং সম্মান ডিগ্রিধারীদের জন্য এক বছর। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এম ফিল ও ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
পেশাগত শিক্ষাক্ষেত্র যেমন কৃষি, চিকিৎসা, প্রকৌশল, কম্পিউটার বিজ্ঞান, ফার্মেসি ইত্যাদি বিষয়ে ডিগ্রির মেয়াদ ৫ বছর। বাংলাদেশে মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মত উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ও এর ছয়টি স্কুলের মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষক ক্ষেত্রে বিভিন্ন মেয়াদ ডিগ্রি প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশে বেসরকারি ইদ্যোগে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠেছে। আরও কিছু অনুমোদনের পথে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রধানে দায়িত্ব হল দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার বিশ্বব্যাপী চাহিদার সাথে সঙ্গতি রক্ষ করে দেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
২০১১ সালের মধ্যেও আমাদের দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সেরা ৫০০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য অন্তর্ভূক্ত হতে পারেনি। একবার চিন্তা করে দেখুন উচ্চ শিক্ষায় আমরা কতটা পিছিয়ে, আমরা যদি একটু সচেতন থাকি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে পড়াশুনার সুষ্ঠ পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করতে পারি তাহলে কে বলতে পারে যে আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আলোরন সৃষ্টি করতে পারি।