২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থী সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ তম। গত ৬ বছরে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার শিক্ষার্থী সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। উচ্চশিক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশের পর গত দেড় দশকে এর পরিমান আরো বেড়েছে। ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী যারা উচ্চশিক্ষায় অধ্যায়রত তারা প্রায় সবাই এখন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এক রিপোর্টে দেখা যায়, ৬০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়রত রয়েছে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৬৪০ জন শিক্ষার্থীর। অন্যদিকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত রেয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ২৭৮ জন শিক্ষার্থী। ইউনেসকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে দেশে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য ১৮ লাখ ৪০ হাজার শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন। ২০০৯ সালে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১৪ লাখ ৫০ হাজার। এ সময়ের মধ্যে প্রকৌশলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে। ইউনেসকো বলছে, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তির হার বেশি হলেও খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী পিএইচডি ডিগ্রির (গবেষণা) জন্য ভর্তি হন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম প্রকৌশলীরা। ২০০৯ সালে ১৭৮ জন প্রকৌশলী পিএইচডি ডিগ্রির জন্য ভর্তি হয়েছিলেন। ২০১২ সালে ভর্তির সংখ্যা বেড়ে হয় ৫২১। প্রতিবেদেন বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ৭ হাজার ৯০ জন পিএইচডি ডিগ্রিধারী আছেন। অন্যদিকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীর সংখ্যা ১৮ লাখ ৩৬ হাজার ৬৫৯ জন। ২০১৮ সালে এই হিসাব তিন গুনেরও বেশি হবে বলে ধারনা করা হয়। ধন্যবাদ