শীতের দিনে সুস্থ এবং সুন্দর থাকতে যা করবেন... জেনে নিন।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
শীতকাল অনেকের অনেক প্রিয় হলেও কারো কারো জন্য এই সময় টা ভীষণ কষ্টের।
বিশেষ করে,ছোট শিশু,বয়স্ক ব্যক্তি এবং যেসব মানুষের শ্বাস কষ্ট,অ্যাজমা,অ্যালার্জি,সাইনাস বা ঠান্ডার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য পুরো শীতকাল ভীষণ দূর্ভোগের।এছাড়া,ত্বক ড্রাই হয়ে যাওয়া এবং অন্যান্য সমস্যা তো রয়েছেই।
শীতের শুরুতে আপনার পুরো বাসা,কার্পেট,ঘরের দরজা,জানালা,পর্দা এবং এসি খুব ভাল ভাবে ক্লিন করে নিন।এরপর, নিয়মিত ফার্নিচার এবং ঘর পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুণ।কারন,শীত কালে বাতাসে ধূলা,ময়লা বেশি থাকে।
নিয়মিত ঘর এবং আসবাব পত্র পরিষ্কার না করলে জমে থাকা ধূলার কারণে অ্যালার্জি,সাইনাস এবং শ্বাস কষ্টের সমস্যা ভয়ংকর আকারে বেড়ে যেতে পারে।
অনেকে শীতকাল আসলে নিয়মিত গোসল করেন না।যা মোটেও স্বাস্থ্য সম্মত নয়।প্রতিদিন গোসলের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে অনেক দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়।
গোসল না করলে এই টক্সিক উপাদান গুলো আমাদের শরীরে থেকে যায়।ফলে,শীতের দিনে চুল্কানি,পাচড়া এবং বিভিন্ন ধরণের চর্ম রোগের প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে।
শীতের দিন সবার উচিত নিয়মিত কুসুম গরম পানিতে গোসল করা।
তবে,চুলের জন্য কুসুম গরম পানির সাথে আরেকটু পানি মিশিয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসার পর চুলের জন্য ব্যবহার করা।এতে করে চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
ঠান্ডার সময়টাতে গোসলের জন্য গ্লিসারিন সমৃদ্ধ সাবান বা যে কোন ভাল ব্র্যান্ডের বেবি সোপ ব্যবহার করা ত্বকের জন্য ভাল।গোসল শেষে পুরো শরীরে বডি লোশন লাগিয়ে নিন।
শীত কালে পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যাতে ভোগেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন।এই,সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন গোসলের সময় পিউমিস স্টোন দিয়ে আস্তে আস্তে পায়ের নীচের মরা চামড়া গুলো তুলে ফেলুন।
এরপর,গোসল শেষে শরীর হালকা ভেজা থাকতে থাকতে যেকোন ভাল মানের ময়েশ্চারাইজিং লোশন পুরো শরীরে এবং পায়ের নীচে লাগিয়ে নিন।
পায়ের যত্নে আরেকটি কাজ নিয়মিত করা যেতে পারে তা হল,ঘুমের সময় লোশনের সাথে গ্লিসারিন মিশিয়ে পুরো পায়ে খুব ভাল ভাবে ম্যাসাজ করে শুয়ে পড়ুন।
শীতকালে মুখ বা শরীর অস্বাভাবিক রকম ড্রাই হয়ে যায় তার একটি কারণ শীতের আবহাওয়া এবং আরেকটি কারণ হল শীতের দিন তেমন পানি পিপাসা লাগে না বলে অনেকে সারাদিন তেমন পানি পান করেন না।তাই,পানি খেতে না ইচ্ছে করলেও পরিমাণ মত পানি পান করুন।
শীতকালে শরীর ড্রাই হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার।কারণ বাতাস অনেক বেশি ড্রাই থাকে এবং আমাদের শরীর থেকে খুব সহজেই পানি বাষ্পীভূত হয় ফলে শরীর এবং ত্বক ড্রাই হয়ে যায়।
শীত কালে ত্থান্ডা বা গলার ব্যথা থেকে সুস্থ থাকতে কুসুম গরম পানি খাওয়া যেতে পারে।এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে ১/৪ চা চামচ সাদা বা কাল গোল মরিচের গুড়া,১/৪ চা চামচ আদা কুচি এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন।এতে,খুশ খুশে কাশি বা গলা ব্যথার ক্ষেত্রে আরাম পাওয়া যাবে।এছাড়া,গ্রীন টি
বেশি ঠান্ডা পড়লে অনেকের ত্বক কুঁচকে একদম বয়স্ক মানুষের মত হয়ে যায়।এই সমস্যা দূর করতে ত্বকে নারকেল তেল,তীলের তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।তবে,এটি ঘরে থাকার সময়টাতে করা উচিত।
এছাড়া, শীতকালে সুস্থ থাকতে ফ্যাটি ফিস,নানা ধরনের শীতকালীন শাক-সব্জি,পর্যাপ্ত পানি এবং টক ফল বেশি পরিমাণে খান।