গাউট বা ইউরিক এসিড কমাবেন যেভাবে।।।।
আমাদের শরীরে স্বাভাবিক ভাবেই একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে ইউরিক এসিড থাকে কিন্তু ঝামেলা বাঁধে যখন কিডনি অতিরিক্ত ইউরিক এসিড শরীর থেকে বের করে দিতে পারেনা কিংবা দেহ অতিরিক্ত ইউরিক এসিড তৈরি করতে শুরু করে।
তখন এই অতিরিক্ত ইউরিক এসিড ক্রিস্টাল আকারে দেহের বিভিন্ন অস্তি সন্ধি বা জয়েন্টে জমতে থাকে।ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা,ফুলে যাওয়া লাল হওয়া এবং যন্ত্রণা অনুভব করে থাকেন।
ইউরিক এসিড কমাতে অনেকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন।তবে,এমন কোন মেডিসিন এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি যা দিয়ে ইউরিক এসিডের মাত্রা স্বাভাবিক করা সম্ভব।যদি না আপনি একটি সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে না চলেন।
ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে নীচের নির্দেশনা গুলো মেনে চলুন।
প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত ১ মাস ১/২ -১ কাপ আনারস খাবেন যা ইউরিক এসিড কমাতে ভীষণ কার্যকর।
যে ধরণের খাবার গুলো খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেবেন সেগুলো হল-
লাল মাংস এবং সাদা মাংস উভয় প্রকার মাংসেই ইউরিক এসিড থাকে,তবে লাল মাংসে উচ্চ পরিমাণে ইউরিক এসিড থাকে।তাই,যাদের হাইপার ইউরেসেমিয়া রয়েছে তাদের উচিত লাল মাংস খাদ্য তালিকা থেকে একেবারে বাদ দেয়া এবং সাদা মাংস সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করা।
লাল এবং সাদা মাংসের মত অর্গান মিটে ইউরিক এসিদের পরিমান অনেক বেশি।তাই,আপনার দেহের ইউরিক এসিডের মাত্রা ঠিক রাখতে আপনার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিন এই খাবার গুলো।
হাঁস,কবুতর,কোয়েল পাখি বা অন্য যেকোন পাখির মাংস উচ্চ পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার।তাই,ইউরিক এসিড বেশি থাকলে কোনভাবেই এই খাবার গুলো খাওয়া যাবেনা।
ঢ্যাঁড়স,কচুর লতি,কচুর মুখী,পুঁইশাক প্রভৃতি সব্জি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হলেও ইউরিক এসিডের লেভেল ঠিক রাখতে এই সব্জি গুলো বাদ দিতে হবে।পাশাপাশি,ফুলকপি,মাশরুম,পালংশাক,শিম,মটরশুঁটি এবং বেগুন খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে অথবা খুবই সীমিত পরিমাণে গ্রহন করতে হবে,যতদিন না পর্যন্ত ইউরিক এসিডের মাত্রা স্বাভাবিক না হয়।
শিমের বীচি,কাঁঠালের বীচি,বিভিন্ন ধরনের বাদাম বাদ দিন যদি ইউরিক এসিডের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে চান।
যেসব খাবার তৈরিতে ইষ্ট ব্যবহার করা হয় যেমনঃপাউরুটি,নান,বিয়ার প্রভৃতি ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রনে রাখতে হলে অবশ্যয় খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
ইউরিক এসিড কমাতে ডাল এবং ডালের তৈরি খাবার যেমনঃপিয়াজু,বেগুনি,ফুস্কা,চটপটি,খিচুরি মুখরোচক হলেও বাদ দিতে হবে।
সামুদ্রিক মাছ,শামুক,ঝিনুক,চিংড়ি,কাকড়া,মাছের ডিম খাবার গুলো ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রনে বাদ দেয়া উচিত।
অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং বেভারেজ যেমনঃ কেক,মিস্টি,কোক এবং হাই ফ্রুক্টোজ ফল খেজুর আতাফল,বেদানা, কাঁঠাল, আঙ্গুর,নাশপাতি, পীচ, আম,তাল,চেরী,কিউই ফল,আলু বোখারা পাশাপাশি মধু,গুড় এবং গুড়ের তৈরি খাবার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।