ইউরিক এসিড কমাতে যে ধরণের খাবার খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত... জেনে নিন
যারা,ইউরিক এসিড বেড়ে যাওয়ার কারণে দেহের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথার সমস্যাতে ভুগছেন,তারা ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ১ টেবিল চামচ ইসুপ গুলের ভুষি এবং এক চা চামচ আদা কুচি,১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে সাথে সাথে খেয়ে নিবেন।এরপর ৩০মিনিট অপেক্ষা করার পর স্বাভাবিক যেকোন খাবার খেতে পারবেন।
ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার ইউরিক এসিদের প্রদাহ কমাতে খুব কার্যকর।তাই,প্রতিদিন মিক্স ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমনঃকমলা,আমড়া,চেরী,আমলকী,জাম্বুরা,লেবু প্রভৃতি ফল গ্রহণ করুন।এছাড়া,ভিটামিন-সি এর সাপ্লিমেন্ট নেয়া যেতে পারে।।
যাদের দেহে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেশি তারা টানা ১ মাস ১/২-১ কাপ করে আনারস খেলে,প্রাকৃতিক ভাবেই ইউরিক এসিডের মাত্রা কমে যাবে।আনারসে থাকা ব্রোলামিন নামক উপাদান এবং উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন-সি ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
আপেল সিডার ভিনেগার আরেকটি উপাদান যা দেহের অতিরিক্ত ইউরিক এসিড কমাতে সাহায্য করে।যারা,ইউরিক এসিড বেড়ে যাবার কারণে কষ্ট পাচ্ছেন,তারা সকালের নাস্তা বাদে বাকি ২টা বড় মিল নেবার ৩০-৪০ মিনিট পূর্বে ১ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে খুব দ্রুত ইউরিক এসিদের মাত্রা কমে যাবে।
ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে রেড মিট এবং অর্গান মিট বাদ দিতে বলা হয়।তাই,প্রোটিনের চাহিদা পূরনের জন্য লো-ফ্যাট মিল্ক,লো ফ্যাট টক দই,বাটার মিল্ক,কুসুম ছাড়া ডিম এবং সীমিত পরিমাণে মুরগীর মাংস বা লিন মিট খাওয়া যেতে পারে।এছাড়া,ডালের মধ্যে মুগের ডাল খাওয়া যেতে পারে।
নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমানোর চেষ্টা করা উচিত।প্রতিদিন কমপক্ষে ৪৫ মিনিট হাঁটা,সাইক্লিং বা ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।আদর্শ ওজন বজায় রাখতে পারলে জয়েন্টের ব্যথা অনেকটা কম হবে।
প্রতিদিন অন্তত ১২ গ্লাস পানি পান করা উচিত।পানি পানের ফলে ব্লাড স্ট্রিম থেকে অতিরিক্ত ইউরিক এসিড এবং টক্সিন পদার্থ সমূহ বের হয়ে যেতে পারে।
যাদের দেহে উচ্চ পরিমাণে ইউরিক এসিড আছে তারা নিয়মিত কলমিশাক খেতে পারেন।এছাড়া,সেলেরি,গাজর,মিষ্টি আলু,মিষ্টি কুমড়া,বাঁধাকপি,করলা,লাউ,কাঁকরোল,চিচিঙ্গা,পটল,ঝিঙা এবং পালংশাক বাদে যেকোন সবুজ শাক খেতে পারেন।
রান্নায় একটানা সয়াবিন তেল ব্যবহার না করে মাঝে মাঝে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
যে খাবার গুলো ইউরিক এসিড বেড়ে যাবার কারণে আপনার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে,ইউরিক এসিদের মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে এলে ধীরে ধীরে সীমিত পরিমাণে এই খাবার গুলো পুনরায় আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারবেন।তবে,সুস্থ থাকতে পরিমিত বোধ বজায় রাখা উচিত।সেজন্য প্রতি ৩-৬ মাস পর পর ইউরিক এসিডের মাত্রা পরীক্ষা করা উচিৎ।
মনে রাখবেন,পিচ্ছিল সব্জি,রেড মিট,অর্গান মিট,
সামুদ্রিক মাছ,মাছের ডিম,পাখির মাংস,অতিরিক্ত মিষ্টি ফল,বীচি জাতীয় খাবার,ডাল এবং ডালের তৈরি খাবার,
ইষ্ট ব্যবহিত খাবার যতদিন পর্যন্ত ইউরিক এসিডের মাত্রা স্বাভাবিক না হয় ততদিন পর্যন্ত বাদ দেয়া উত্তম।
যে খাবার গুলো সুস্থ থাকার জন্য সাময়িক বাদ দিতে বলা হয়,তার বাইরে ও বিকল্প অনেক খাবার রয়েছে সেগুলোর সাহায্যে সুস্থ থাকা এবং বেচে থাকা সম্ভব।
তাই, হাহাকার না করে বেশি খেয়ে অসুস্থ হবার চেয়ে কিছুটা কম খেয়ে সুস্থ থাকার চেষ্টা করা উত্তম।