বিভিন্ন প্রকার চিরুনির সাধারণ ব্যবহার নিন্মরুপ:
**বড় দাঁতের চিরুনি- ভেজা চুল কখনোই আঁচড়ানো উচিত নয়। তবুও সময়ের অভাবে যদি প্রয়োজন হয় তবে বড় ও ফাঁকা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। এতে চুল পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে কম। এই ব্রাশ ব্যবহারে চুলের জট ছাড়ানো সহজ হয়।
**ব্যাডল ব্রাশ- এটি একটি আয়তাকার হেড ব্রাশ যা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। এই ব্রাশটি মাঝারি থেকে লম্বা চুলের জন্য সবচেয়ে ভালো।
র্যাটেইল চিরুনি- এই ব্রাশ লম্বা হাতলের। চিকন এই চিরুনি চুলে সিঁথি কাটতে সাহায্য করে। এ ছাড়া চিকন দাঁতের জন্য চুল ফোলানো থেকে শুরু করে পেঁচানো স্টাইল করা যায়। বিশেষ করে নানান রকম খোঁপা করতে এই চিরুনি উপযুক্ত।
**সিনথেটিক ব্রিসল ব্রাশ- যাদের মাথায় অনেক চুল তাদের জন্য এই ব্রাশ খুবই ভালো। এই ব্রাশটি মূলত নাইলন দিয়ে তৈরি করা হয়।
**কুইল ব্রাশ- এই চিরুনিটি ডিম্বাকৃতির বা গোলাকৃতির হয়ে থাকে। মাথার ত্বক ম্যাসাজ করে এবং চুলের ন্যাচারাল অয়েল মাথায় ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।
ভেন্টেড ব্রাশ- ভেজা চুল শুকানোর সময় এই ব্রাশ ব্যবহার করা হয়। ভেজা চুল দুর্বল থাকে। তাই এই ব্রাশ চুল ছিঁড়ে যাওয়া বা ভেঙে যাওয়া রোধ করে।
**গোলাকার ব্রাশ- চুলে ভলিউম আনতে চাইলে এবং চুলে কিছুটা কোঁকড়ানো ভাব তৈরি করতে চাইলে গোলাকার ব্রাশ পাওয়া যায়।
**টিজিং ব্রাশ- মাথার ওপরের অংশে কিছুটা চুল ফুলিয়ে বাঁধার ফ্যাশন অনেকের কাছেই বেশ পছন্দের। আর এই চুল ফোলানোর জন্য চিরুনি দিয়ে চুল টিজ করা হলে চুল ছিঁড়ে বা ভেঙে যেতে পারে। তাই নরম ব্রিসলসের এই টিজিং ব্রাশগুলো চুলের বাড়তি ক্ষতি না করেই চুল স্টাইল করতে সাহায্য করবে।
**পিন ব্রাশ- এটি ধাতব পিনযুক্ত ডিম্বাকৃতির চিরুনি। ধাতব পিনগুলো ঘন চুলের ভিতর পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারে। এই চিরুনিটি ঘন ও কার্লি চুলের জন্য সবচেয়ে ভালো।