♦ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের যত্ন♦
শুধু বড় চুল মানেই যে সুন্দর, এই ধারনা টা কিন্তু ভুল। নিয়মিত পরিচর্যা
করে ছোট বা মাঝারি চুলকেও নজরকারা করে তোলা সম্ভব। সমস্যা
শুরু হবার আগে থেকেই নিয়মিত রুটিন মাফিক চুলের যত্ন নিলে খুশকি,
নির্জীবতা এবং চুল পরার মত সমস্যাগুলো এড়ানো সম্ভব। আসুন
আজকে আমরা জেনে নিই কীভাবে চুলের যত্নের রুটিন মেনে
চলা যায়।
★তেলঃ
চুলের যত্নে তেলের কোন বিকল্প নেই। ভালো চুল পেতে
হলে সপ্তাহে ৪ দিন আপনাকে চুলে তেল দিতে হবে। চেষ্টা
করুন রাতে ঘুমানোর আগে তেল দেয়ার। নারিকেল তেলের
পাশাপাশি আমন্ড অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, তিল তেল এগুলো মিশিয়ে
চুলে দিবেন। ক্যাস্টর অয়েল নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
সপ্তাহে ১ দিন চুলে অবশ্যই হট অয়েল মাসাজ করবেন।
★চুল বাঁধাঃ
চুল দরকার হলে ছাড়া না রাখাই ভালো। এতে চুলকে দূষণ এর হাত
থেকে বাঁচানো যায়। গোসলের পর চুল শুকিয়ে ভালো ভাবে
বেণি বা খোপা করে রাখুন। বাইরে বের হলে স্কার্ফ ব্যবহার করুন।
মনে রাখবেন অতিরিক্ত তাপ বা ঠাণ্ডা দুটোই কিন্তু চুলের পক্ষে
ক্ষতিকর।
তাই রোদে বের হলে ছাতা ব্যবহার করুন এবং এয়ার কন্ডিশন রুমে
অনেকক্ষণ থাকা থেকে বিরত থাকুন।
চুলের যত্নে কিছু উপকারী হেয়ার মাস্কঃ
আপনার চুলের পুষ্টির জন্য কিছু ঘরোয়া মাস্কের রেসিপি দিলাম,
যেগুলো খুবই সহজলভ্য এবং নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের সমস্যা দূর
হয়।
ডিম চুলের যত্নের একটি অনন্য উপাদান। সপ্তাহে ২ দিন নাহলে
অন্ততপক্ষে ১ দিন চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী ডিম ফেটিয়ে চুলে দিয়ে
৪৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। তারপর, প্রাকৃতিক
কন্ডিশনার হিসেবে এক মগ পানিতে ২/৩ চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে
চুলে দিয়ে ২ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
যারা চুলের কালার এবং পুষ্টি দুটোই চান, তারা মেহেদি পাতা বাটা এবং ৪ চা চামচ
কফি পাউডার মিশিয়ে চুলে এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু
করবেন না ঐদিন।
মাথায় খুশকি বা ফুসকুড়ি থাকলে নিমপাতা ও মেথি একসাথে বেটে
সপ্তাহে ২ দিন লাগালে খুব তাড়াতাড়ি ফল পাবেন।
চুল সিল্কি করতে চাইলে ডিম ফেটিয়ে তাতে লেবুর রস মিশিয়ে আধা
ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
ডিম এবং মধুর মাস্ক চুলের ভলিউম বাড়াতে সাহায্য করে।
মাথার তালু ঠাণ্ডা রাখার একটি অব্যর্থ উপাদান হলো আলভেরার শাঁস বা জুস।
এর সাথে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে
ফেলবেন।
পেঁয়াজের রস চুল গজাতে সাহায্য করে। ১৫ দিনে ১ বার মাথার তালুতে
তুলোয় করে পেঁয়াজের রস লাগাবেন।
যারা কেমিক্যাল-যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে চান না, তারা রিঠা সারা রাত
ভিজিয়ে রেখে পরদিন সেটার পানি ছেঁকে শ্যাম্পুর বিকল্প হিসেবে
ব্যবহার করতে পারেন।