Question

জাতিপুঞ্জের_গঠন জানতে চাই

Answer 1

# 

#জাতিপুঞ্জের_গঠন :

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে ১৯১৯ সালে সাক্ষরিত হয় ভার্সাই চুক্তি। এই  চুক্তির মাধ্যমে ১৯২০ সালে 'জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৮ তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন উড্রো উইলসন  ' জাতিপুঞ্জ ' গঠনের প্রস্তাবক। জাতিপুঞ্জের সদর দপ্তর ছিলো সুইজারল্যান্ডের ' জেনেভায়'। প্রথম মহাসচিব নিযুক্ত হয়েছিলেন স্যার এ্যরিক ড্রম।স্থায়ী সদস্য দেশ ছিলো চারটি - ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি ও জাপান।

#সদস্য #দেশসমূহ ।

স্থায়ী সদস্য চারটি দেশ ছাড়াও

যেসব মিত্রশক্তি চুক্তিতে সাক্ষর করেছিলো তারা হলো এর প্রথম পর্যায়ের সদস্য। এই সংখ্যা ছিলো ৪০ টি।

আর বিজিত শক্তিসমূহের মধ্য থেকে যারা পরবর্তীতে ' লীগ অব নেশনসে' যোগ দিয়েছিলো তারা হলো দ্বিতীয় পর্যায়ের সদস্য। এই সংখ্যা ছিলো ৫০ টি।

জাতিপুঞ্জের তিনটি প্রধান শাখা:

১. সাধারণ সভা

২.কাউন্সিল

৩.সচিবালয়।

#ব্যর্থতা_ও_বিলুপ্তি :

বৃহৎ শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে ভার্সাই চুক্তি অনুমোদন না হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিপুঞ্জের সদস্য হতে পারেনি।যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন জাতিপুঞ্জ গঠনের মূল প্রেরণাদাতা ছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতি ছিল লীগ অব নেশসনস - এর উপর প্রচন্ড আঘাতস্বরুপ।বিজয়ী ও বিজিত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মতানৈক্য জার্মানিকে সর্বোতভাবে পঙ্গু করে রাখার চেষ্টা লীগের মতো এক আন্তর্জাতিক সংস্থার সাফল্যের প্রধান অন্তরায় ছিলো। লিগের কাউন্সিলের আগ্রাসী রাষ্ট্র ও শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা থাকলেও কোন আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।আগ্রাসী শক্তি জার্মানিকে দাবিয়েও রাখা যায়নি। আন্তর্জাতিক শান্তি এবং যুদ্ধ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন ছিলো আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনীর। লীগ আক্রমন বন্ধের জন্য কেবল প্রস্তাব গ্রহন করতে পারত।সেই প্রস্তাব কার্যকর করার মতো কোন সামরিক বাহিনী গঠনের ক্ষমতা লীগ অব নেশনসের ছিলোনা। তাই ধীরে ধীরে জাতিপুঞ্জ একটা অকার্যকর সংস্থায় পরিনত হয়। এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এড়াতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়।১৯৩৯ সালে জাতিপুঞ্জ তার কার্যকারিতা সম্পূর্ণরুপে হারিয়ে ফেলে।১৯৪৬ সালের ২০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতিপুঞ্জকে বিলুপ্তি ঘোষনা করা হয়।এই লীগ অব নেশনসের বিলুপ্তির মাধ্যমেই আজকের জাতিসংঘের আবির্ভাব ঘটে।

Answer 2

লীগ অব নেশনস(League of nations):-

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯১৯ সালে প্যারিস সম্মেলনে যুদ্ধের সম্ভাবনাকে দূ্র করে যুদ্ধের পরিবর্তে আপোষ-মিমাংসা দ্বা্রা আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধান করে বিশ্ব শান্তি বজায় রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উইলসনের বিখ্যাত চৌদ্দ দফা শর্তের ভিত্তিতে লীগ অব নেশনস গঠিত হয়।এটার প্রধান কার্যালয় স্থাপিত হয় জেনেভা শহরে,

চারটি প্রধান সংস্থা নিয়ে এর রাষ্ট্রসংঘ গঠন করা হয়।

সংস্থা গুলো হচ্ছেঃ-

01.একটি পরিষদ(Assembly),

02. একটি আন্তর্জাতিক বিচারালয়(International Court),

03.একটি কাউন্সিল(Council), 

04.একটি স্থায়ী কার্যসংসদ(Secretariat)।

পাঁচটি স্থায়ী রাষ্ট্র ছিল-

01.গ্রেট ব্রিটেন,

02. যুক্তরাষ্ট্র,

03. ইতালি, 

04.ফ্রান্স 

05.জাপান