ফালুদা বানানোর নিয়ম -
উপকরণ:
-এক লিটার তরল দুধ -এক কাপ সাবুদানা -চিনি স্বাদমতো -আধা কাপ প্লেইন নুডলস (কোনো রকমের ফ্লেভার ছাড়া রাইস নুডলস হলে ভালো হয়) -দুই কাপ নিজের ইচ্ছে মতো ফল কাটা -সিকি কাপ ২/৩ ধরণের বাদাম -জেলাটিন -ফুড কালার এবং ফ্লেভার -পছন্দের ফ্লেভারের আইসক্রিম
প্রণালী:
১) প্রথমে দুধটাকে ফুটিয়ে একটু ঘন করে নিন। এরপর এতে চিনি দিয়ে মিশিয়ে নিন। চিনি গলে মিশে গেলে এতে সাবুদানা দিয়ে রান্না করুন। সাবুদানা প্রায় রান্না হয়ে এলে এতে নুডলস দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। সবটা রান্না হয়ে এলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রাখুন। ২) জেলাটিন প্যাকেটের নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তুত করে নিন। যদি জেলাটিনের সাথে রঙ এবং ফ্লেভার দেওয়াই থাকে তবে আর ফুড কালার এবং ফ্লেভার দেবার প্রয়োজন হবে না। সাধারণত এক টেবিল চামচ জেলাটিন গুঁড়োর জন্য দুই কাপ পানি প্রয়োজন হয়। দুই কাপ পানিতে মিশিয়ে নিন দুই টেবিল চামচ চিনি। এতে এক টেবিল চামচ জেলাটিন এবং এক-দুই ফোঁটা ফুড কালার ও ফুড ফ্লেভার মিশিয়ে গরম করে নিন যতক্ষণ না জেলাটিন গলে মিশে যায় তরলের সাথে। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে ছাঁচের ভেতর ঢেলে নিতে পারেন এই মিশ্রণ। প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন শেপের আইস কিউব ছাঁচ পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। অথবা সাধারণ একটি প্লাস্টিকের কন্টেইনারে রেখেও ফ্রিজে জমিয়ে নিতে পারেন জেলাটিন। জমে গেলে এটাকে বের করে ইচ্ছেমত শেপে কেটে নিন। বেশীরভাগ সময়ে ফালুদায় লম্বা ফালি করে অথবা ছোট কিউব করে কেটে জেলি পরিবেশন করা হয়। ৩) বিভিন্ন ফল কেটে চিনি-পানির মিশ্রণে মাখিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন, এতে কালো হয়ে যাবে না। এর মাঝে থাকতে পারে আপেল, কলা, আঙ্গুর, আনার ইত্যাদি। ৪) পেস্তাবাদাম, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম এগুলো কুচি করে নিতে পারেন। এছাড়া তাওয়ায় একটু টেলে ভেঙ্গেও নিতে পারেন। ৫) ফালুদা তৈরির সবচাইতে গুরুত্বপুর্ণ ধাপ হলো সাজানো। সুন্দর লম্বা কাঁচের গ্লাস প্রস্তুত করতে হবে ফালুদার জন্য। প্রথমে কয়েক রকমের ফল ১/২ চামচ রাখতে হবে গ্লাসে। এরপর সাবু এবং নুডলসের মিশ্রণ ফ্রিজ থেকে বের করে গ্লাসের তিন ভাগের এক ভাগ পুর্ণ করতে হবে। এরপর এর ওপরে দিতে হবে জেলি। একের বেশি রঙের জেলি থাকলে তা দেখতে সুন্দর লাগবে। সবার ওপরে আইসক্রিম, বাদামের মিশ্রণ এবং অল্প করে জেলি দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন ফালুদা। সবার ওপরে একটি চেরি দিয়ে দিলে আরও ভালো লাগবে দেখতে।