আপনার সন্তানের বেড়ে ওঠার সময় কিছু বিষয় খুব সতর্কতার সাথে পালন করুন। এগুলো তার চারিত্রিক এবং মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেঃ
১! তাকে আপত্তিকর স্পর্শ থেকে দূরে রাখুন।
২! যতই কাছের সম্পর্কের কেউ হোক এমন কারো কাছে দিবেননা যার কাছে সে আনইজি ফিল করে।
৩! ছোট বাচ্চাকে নানাভাবে আদর করা যায় তবে সাবধান এমন কোনো ইঙ্গিতে আদর করতে যাবেননা যা তার মন মানসিকতায় বিরূপ প্রভাব ফেলে।
যেমনঃ লিপ কিস। অনেকে খুব বেশি এটা করে থাকেন। কিন্তু মোটেও ঠিক না। এটা একটা ছোট্টো উদাহরণ। এমন অনেক উদাহরণ আছে একটু খেয়াল করে দেখবেন।
৪! আপনার সন্তানের সামনে এমন কোনো কথা বলবেননা যা তার মানসিকতা নষ্ট করতে কিংবা অন্য কারো জন্য খারাপ চিন্তা করতে বাধ্য করবে।
৫! মোবাইল, নেট, ল্যাপটপ থেকে দূরে রাখুন। এটার কল্যানের পাশাপাশি অকল্যাণ বেশিই করছে। প্রমাণঃ কিছুদিন আগে দুই শিশুর ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও। শিক্ষা নিন এখান থেকেই।
৬! খারাপ ভাষায় কিংবা খারাপ ইঙ্গিতে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। এটা তার মাঝেও আসবে।
৭! টিভি দেখার সময়, ফেসবুকিংয়ের সময় বা ব্রাউজিংয়েত সময় আপনার সন্তানকে যথাসম্ভব দূরে রাখুন। আপত্তিকর কিছু আপনার না চাইলেও তার সামনে আসলে সে আপনার সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করতে পারে।
৮! ড্রেস চেঞ্জ করার সময় তাকে রুমের বাইরে রাখুন। এখন ছোট কাল কিন্তু সে বড় হবে। বড় হলে যে কাজ আপনাকে করতে হবে তা এখন থেকেই করুন।
৯! আপনার সন্তানের সামনে আপনার পোশাকাদি ঠিক করে রাখেন। নারী পুরুষ উভয়ই। আপনার ড্রেসিং স্টাইল তার রুচির বিকাশ ঘটাবে।
১০! শিশুকে শিশু হিসেবে বয়স অনুযায়ী শিক্ষা দেন৷ বয়সের আগে এমনকিছু শেখাবেননা যা তাকে কৌতূহলী করে অন্যদিকে নিয়ে যায়।
১১! সবসময় দিতে শেখাবেন। ভালো ব্যবহার হোক কিংবা টাকা পয়সা।
১২! সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করুন। নিজের সাথে ফ্রি করে নিন। যাতে সবকিছু শেয়ার করে আপনার সাথে। অন্যথায় সমস্যায় আপনিও পরবেন।
১৩! ছোটবেলা থেকেই বন্ধু নির্বাচনের ব্যাপারে সাবধান রাখুন।
১৪! সম্মান দিয়ে কথা বলতে শেখান। এমনকি আপনি নিজেও তার সামনে কাউকে অপমান কিংবা ছোট করা থেকে বিরত থাকুন।
১৫! গৃহস্থালির ছোটখাটো কাজকর্ম থেকে শুরু করে বাইরের জগতের ছোটখাটো কাজকর্মের ব্যপারে পজিটিভ ধারণা শিশুকাল থেকেই সৃষ্টি করুন। যাতে বড় হয়ে ঘৃণা বা কারো প্রতি অবজ্ঞা তার ভিতর জন্ম না নেয়।
১৬! আপনার আর্থিক অবস্থা বা আপনার সামর্থ্যের দৌড় তাকে বুঝতে দেন মেরুদণ্ড সোজা করে। নিজেকে বিকিয়ে তার শখ পূরণ করা থেকে বিরত থাকুন। দশ টাকার জায়গায় ছয় টাকায় কাজ চালিয়ে নিন। সেও শিখবে সঞ্চয় এবং বুঝবে টাকার মূল্য।
১৭! সকল প্রকার বায়না পূরণ করার আগে প্রয়োজনীয়গুলো বেছে নিন আগে। অপ্রয়োজনীয়গুলো একটানে কেটে ফেলুন সেটা তার যতই প্রিয় হোক। উড়নচণ্ডী মনোভাব এখন থেকেই পরিহার করতে শেখান।
১৮! কথায় কথায় পানিশমেন্ট না দিয়ে ভুলগুলো শুধরে নিন সাথে সাথেই।
১৯! সরি বলার অভ্যাস গড়ে তুলুন তার মাঝে।
২০! উচ্চবাচ্য কিংবা অহংকারী মনোভাব দেখলেই বুঝিয়ে বলুন এটা ঠিক নয়।
২১! মিথ্যা বলা থেকে বিরত রাখুন। বললে শাস্তিস্বরূপ কিছু একটা দেন।
২২! ইসলামিক জ্ঞানে পরিপূর্ণ রাখুন।
২৩! প্রতিটি সম্পর্কের হক বুঝিয়ে দেন হাদিসের আলোকে এবং তা আদায় করতে বাধ্য করুন।
২৪! কুরুচিপূর্ণ মানুষ থেকে দূরে থাকুন।
২৫! সবশেষে তাকে বুঝুন।
তার উপর অতিরিক্ত দুনিয়াবি অকাজের চাপ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।