বর্তমানে বড় বড় শপিং মল, এ্যাপান্টমেন্ট, সিনেমা হল, হাসপাতাল প্রায় প্রতিটি স্থানেই ওঠানামা করার জন্য আমাদের লিফট ব্যবহার করতে হয়। এটি দৈনন্দিন জীবনে অবিচ্ছেদ্য প্রয়োজনীয়তায় রুপান্তরিত হয়ে গেছে। তবে লিফট ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা কেউই নিরাপদ না। যেকোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। তাই আসুন জেনে নেই লিফট ছিড়ে গেলে করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে।
১. লাফ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন
প্রথমত আপনি যখন ফ্রিস্টাইলে নিচে পড়ে যেতে থাকবেন, তখন লাফ দেয়ার চেষ্টা করাটা খুবই কঠিন। দ্বিতীয়ত লাফালাফি করলে লিফট আরো বেশি গতিতে আছড়ে পড়বে। তৃতীয়ত আপনার শরীরের কোন অংশ পতিত হবে তা এর মাধ্যমে আগেভাগে নির্ধারণ করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। বরং লাফের কারণে আপনি মাথায় আঘাত পেতে পারেন এবং খুবই খারাপভাবে আপনার শরীর আছড়ে পড়তে পারে।
২. সোজাভাবে দাড়িয়ে না থাকা:
লিফট ছিড়ে পড়ার সময় সোজাভাবে দাড়িয়ে থাকাটা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। বিজ্ঞানের সূত্র অনুযায়ী যখন কোন বস্তু উপর থেকে নিচের দিকে পতিত হয় তখন পতিত বস্তুর নিম্নভাগে সবচেয়ে বেশি ভরবেগ থাকে অর্থাৎ যখন পতিত হওয়ার সময় আপনার শরীরের কয়েকগুন বেশি ওজন আপনার পায়ে এসে ভর করবে। যা পা ভাঙ্গা থেকে শুরু করে ঘুরুতর জখম হওয়ার জন্য যথেষ্ঠ।
৩. হাত পা ছড়িয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ুন:
লিফট ছিড়ে পড়ার ক্ষেত্রে হাত পা ছড়িয়ে মাটিতে শুয়ে পড়া হলো লিফট ছিড়ে পরার সময় প্রাণ রক্ষা করার সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে লিফট ছিড়ে পড়ার ক্ষেত্রে হাত পা ছড়িয়ে মাটিতে শুয়ে পড়লে আপনি প্রাণে বেঁচে যেতে পারেন।
৪. লিফটে বেশি মানুষ থাকলে:
এ পরিস্থিতি সবচেয়ে ভালো যেটা করতে পারেন তা হচ্ছে, লিফটের মেঝেতে বসে পড়া। আপনি দাঁড়িয়ে থাকলে অস্থিতে যে পরিমাণ চাপ পড়তো তার তুলনায় অস্থিতে কম চাপ পড়বে এ পজিশনে। যদি বসে পড়ার মতো জায়গা না থাকে, তাহলে অন্তত চেষ্টা করুন হাঁটু বাঁকা করে রাখতে, এটিও পায়ের বল কমাতে কিছুটা সাহায্য করবে।