সজিনা পাতার বিস্ময়কর গুনাগুন
==================================
সজিনা গাছের পাতাকে বলা হয় অলৌকিক পাতা। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর হার্ব। তাই সজিনা পাতাকে বলা হয় পুষ্টিগুণে ভরপুর সুপার ফুড এবং সজিনা গাছকে বলা হয় মিরাক্কেল ট্রি। আমরা অনেকেই সজনে সজবি হিসেবে খাই। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে সজনের সাথে সাথে সজনে পাতাও খাওয়া যায়। সজনে গাছের পাতা এবং ফল উভয়ের মধ্যেই বিপুল পরিমাণে পুষ্টি উপাদা্ন রয়েছে।
তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং জীবন ধারনের জন্য পুষ্টি উপাদান দুটোই পাওয়া যায়। এই জন্য অনেকেই বলে থাকেন সজিনা গাছ যাদের বাড়ীতে আছে তাদের বাড়ীতে ভিটামিনের ফ্যাক্টরি আছে।
পুষ্টিগুণে ভরপুর
পরিমাণের ভিত্তিতে তুলনা করলে সমপরিমাণ ওজনের সজিনা পাতায় কমলা লেবুর চেয়ে ৭ গুণ ভিটামিন-সি, দুধের চেয়ে ৪ গুণ ক্যালসিয়াম এবং দুই গুণ আমিষ, গাজরের চেয়ে ৪ গুণ ভিটামিন-এ, কলার চেয়ে ৩ গুণ পটাশিয়াম বিদ্যমান। তাই নিরামিষভোগীরা সজিনার পাতা থেকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হতে পারেন।
মুখে রুচি বাড়ে
সজনে ডাঁটার মতো এর পাতাতেও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টিগুণ। সজনে পাতা শাক হিসেবে এমনকি ভর্তা করেও খাওয়া যায়। এতে মুখের রুচি বাড়ে।
শ্বাসকষ্ট ও হেচকি কমায়
সজনে পাতার রস খেলে শ্বাসকষ্ট সারে ও হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়। তাছাড়া পাতাকে অনেকক্ষণ সিদ্ধ করে তা থেকে যেই ঘন রস পাওয়া যায় তার সাথে আদার রস মিশিয়ে খেলে পেটের গ্যাস দূর হয়ে যায়।
উচ্চ রক্তচাপ কমায়
সজনে পাতার টাটকা রস দু’বেলা খাবাবের ঠিক আগে ২-৩ চা চামচ করে খেলে উচ্চ রক্ত চাপ কমে যায়।৫.সজনে পাতাতে প্রচুর খাদ্য আঁশ থাকে যা কুষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাছাড়া সজনে পাতার রস মাথায় মাখলে খুসকি দূর হয়।
ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে
সজনা পাতার রসে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার ক্ষমতাও রয়েছে। যা আমাদের দেহ থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করে শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
এই সজনে পাতা আমরা নানাভাবে খেতে পারি। সজনে পাতা ভর্তা করে, ভেঁজে, তরকারি বানিয়ে বা খিচুরী রান্নার সময় সজনে পাতা দিয়ে দেওয়া যেতে পারে।