রাজমার উপকারিতা ও ডাল রান্না এবং সালাদের রেসিপি:
হিন্দিতে রাজমা, ইংরেজিতে Kidney Beans, সিলেট ও পার্বত্য চট্রগ্রামে কাঠুয়া সীম, ঝাড় সীম, ফরাাস সীম নামে পরিচিত। রাজমা এক ধরনের সীমের বীচি যা অসাধারণ সব পুষ্টিগুনে ভরপুর।
★★ রাজমায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ এবং ভিটামিন কে, যা শরীরে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে বিশেষ উপকারী।
.
★★ রাজমার ভিটামিন কে মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী।
.
★★ রাজমায় রয়েছে এক ধরনের ফাইবার, যা শর্করা জাতীয় খাবারের মেটাবলিজম রেট ঠিক রেখে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
.
★★ রাজমা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বলে পেট পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে।
.
★★ উচ্চ ফাইবারযুক্ত রাজমা রক্তে কোলেস্টরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং রাজমায় উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে।
.
★★ রাজমায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, যা রক্তে লোহিতকণিকার পরিমাণ ঠিকঠাক রাখে এবং পাশাপাশি শরীরকে প্রচুর এনার্জি সরবরাহ করে।
.
★★ রাজমা হল প্রোটিন সমৃ্দ্ধ খাবার এবং তাই মাংস বা দুগ্ধজাত খাবারের পরিবর্ত হিসেবে কাজ করে।
.
★★ রাজমায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১ বা থায়ামিন। এই ভিটামিনটি স্মৃতিশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে।
.
★★ ফ্ল্যাভোনয়েডস বা প্রোঅ্যান্থোসায়ানিডিন সমৃদ্ধ এই খাবার ত্বক ভাল রাখে এবং ত্বকে বলিরেখা পড়তে বাধা দেয়।
.
★★ রাজমায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক এবং নায়াসিন। এই দু’টি পদার্থই চোখ ভাল রাখে।
.
★★ বায়োটিন যা নখের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে রাজমাতে।
.
★★ ম্যাগনেসিয়াম সমৃ্দ্ধ খাবার বলে এটি অ্যাজমা-জাতীয় অসুখ থেকে শরীরকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
.
★★ রিউমাটয়েড আর্থারাইটিসে যাঁরা ভুগছেন তাঁদের পক্ষে উপকারী রাজমা কারণ এতে থাকে কপার যা লিগামেন্ট এবং জয়েন্টের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
.
★★ নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে রাজমা খেলে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
.
★★ এছাড়া রাজমাতে রয়েছে ভিটামিন সি যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
★★★ রাজমা ডাল রেসিপি
এক কাপ রাজমা ৫/৬ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।২/৩ টি টমেটো টুকরা করে কেটে রাখুন। পরিমাণমত একটা পাত্রে তেল গরম করে তাতে হালকা আঁচে এককাপ পিয়াজ কুঁচি ভাজতে থাকুন। পিয়াজের রং বাদামী হলে পরিমাণমত রসুন বাটা, আদা বাটা, হলুদের গুড়ো সহ ইচ্ছামত অন্যান্য মশলা, কাঁচা মরিচ দিয়ে নাড়তে থাকুন। মশলা লাল হয়ে তেল ছাড়া ছাড়া হলে টমেটো দিয়ে হালকা আঁচে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না টমেটো পুরোপুরি গলে যায়। এরপর রাজমা দিয়ে নাড়তে থাকুন। রাজমার শক্ত খোসার জন্য ভিতরে টমেটো ও মশলা যেতে সময় লাগবে। এজন্য যত বেশী সময় ধরে কম আঁচে রান্না করা যাবে, ততোই সুস্বাদু হবে। হয়ে আসলে ভাত ও রুটির সাথে পরিবেশন করুন।
★★★ রাজমা সালাদ রেসেপি
রাজমা ১ কাপ, পিঁয়াজকুঁচি আধা কাপ, বিট আধা কাপ, গাজর কুঁচি আধা কাপ, সরিষার তেল ২ চা চামচ, ভিনেগার ২ চা চামচ, কমলার রস ২ টেবিল চামচ, আদা কুচি ১ চা চামচ, চিনি ১ চা চামচ, শুকনা মরিচের গুঁড়া আধা চা চামচ, কাঁচা মরিচ ২/৩ টি, লবণ স্বাদমতো।
রাজমা৫/৬ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার সব উপকরণ একসাথে মিলিয়ে ভালো করে ফেটে পরিবেশন করুন।
আপনার বাড়ির শিশুদেরও বিভিন্নভাবে রাজমা রান্না করে খাওয়ান।