ভারতের নির্বাচনকে বলা হয়ঃ #গণতন্ত্রের_মহোৎসব
#নির্বাচনঃ
১৭তম লোকসভা নির্বাচন (৩৯ দিনব্যাপী ৭ দফায় হয়)
#বড়_দুটি_দলঃ
১) ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজিপি)-
প্রতিষ্ঠাতাঃ অটল বিহারী বাজপেয়ী
সংসদীয় সভাপতিঃ নরেন্দ্র মোদী
লোকসভায় নেতাঃ নরেন্দ্র মোদী (প্রধানমন্ত্রী)
রাজ্যসভায় নেতাঃ অরুণ জেটলি।
রাজনৈতিক অবস্থানঃ দক্ষিণপন্থী
প্রতিষ্ঠাঃ ১৯৮০
২) কংগ্রেস-
প্রতিষ্ঠাতা: অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম, দাদাভাই নওরোজি
সভাপতিঃ রাহুল গান্ধী
প্রতিষ্ঠাঃ ১৮৮৫
রাজনৈতিক অবস্থানঃ মধ্য-বামপন্থী
#ভোটারঃ
১১ এপ্রিল শুরু হওয়া এই নির্বাচনে সাত ধাপে ভোট দেন মোট ৯০০ মিলিয়ন বা ৯০ কোটি ভোটার। ভারতের ভোটার সংখ্যা যৌথভাবে ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যার বেশি।
#প্রথম_ভোটঃ
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ভারত। তারপর দেশটিতে প্রথম নির্বাচন হয় ১৯৫১-৫২ সালে।
#সংসদঃ
ভারতের সংসদ দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট। এখানে লোকসভা হচ্ছে নিম্নকক্ষ। রাজ্যসভা উচ্চকক্ষ। লোকসভায় ৫৪৩টি সিট রয়েছে। সরকার গঠন করতে হলে কোনো দলকে ২৭২টি সিট পেতে হয়। মোদী ও তার সমর্থিত দল পায় প্রায় ৩৫০ টার মত সিট। কংগ্রেস পায় ৬০ টার ও কম।
#নরেন্দ্র_মোদির_জয়ের_কারণঃ
১) নরেন্দ্র মোদীর সরকার সরাসরি কৃষকদের ঋণ বা ঋণ মওকুফ সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
২) পিছিয়ে পড়াদের জন্য চাকুরীতে কোটার কথাও বলছেন তিনি।
৩) পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক বিরোধই মূলত মোদির ভাগ্য খুলে দিয়েছে। পুলওয়ামা হামলার আগে মোদি সরকারের প্রতি মানুষের আনাগ্রহ বাড়ছিল। কিন্তু ওই হামলার পর মোদি আবার সতেজ হয়ে ওঠেন। সারা ভারতে পাকিস্তান বিরোধী একটা মনোভাব ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
তবে, রাহুল গান্ধী তার দল জিতলে গরীবদের একটি ন্যুনতম আয়ের নিশ্চয়তা দিলেও এক্ষেত্রে তিনি কোন সুবিধা পান নি।
#এত_সময়_নিয়ে_কেন_ভোট_হয়ঃ
এই নির্বাচনের সঙ্গে শত শত নির্বাচনী কর্মকর্তা জড়িত। সঙ্গে নিরাপত্তাও একটি বিষয়। তাদের এক সঙ্গে ব্যস্ত না রেখে ধাপে ধাপে আলাদা আলাদা রাজ্যে ভোট নেওয়া হয়।
#পাকিস্তানের_সাথে_সম্পর্কঃ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলছেন, তিনি কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে ভারতের সাথে সংলাপ চান, এবং কাশ্মীর প্রশ্নে ভারতের সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে এ অঞ্চলের জন্য তা হবে এক দারুণ ব্যাপার। ইমরান খান আরো বলেন, কাশ্মীর সংকট নিষ্পত্তি করার জন্য 'হয়তো নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি নির্বাচনে জিতলেই ভাল হবে।'
#বাংলাদেশ_ভারত_সম্পর্কঃ
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে বড় আকারে পরিবর্তনের সম্ভাবনা একেবারেই কম। গত এক দশকে কংগ্রেস ও বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। উল্লেখ্য, গত এক দশকে সীমান্ত সমস্যা, ছিটমহল বিনিময়, ট্রানজিট সুবিধা, বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।