আপেলের খাওয়ার উপকারিতা।।।।।।।।।।
কথায় আছে প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে অসুখ থেকে দূরে থাকা যায়।কথাটি যথার্থ।
আপেল ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস,ফ্লাভোনইয়েডস এবং পলিফেনলিক্সের ভাল উৎস।যা,সুস্থ থাকার জন্যে জরুরী।
আপেল টার্টারিক এসিডের খুব ভাল উৎস।যা,ফ্রি র্যাডিকালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করে।
প্রতিদিন আমরা বিভিন্ন খাবার থেকে নানা ধরণের টক্সিক উপাদান গ্রহণ করে থাকি।আর,এই টক্সিক উপাদান গুলোকে আমাদের লিভার থেকে বের করে দিতে আপেলে থাকা পুষ্টি উপাদান সাহয্য করে।
যাদের হজমে সমস্যা এবং নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাতে ভুগছেন তারা নিয়মিত আপেল খেতে পারেন।আপেলে বেশ ভাল পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।
যাদের দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে তারা আপেল খেলে দাঁতের সমস্যা অনেক কম থাকবে।আপেল কামড়ে এবং চিবিয়ে খাবার সময় আমাদের লালা নিঃসরণের পরিমাণ বেড়ে যায় ফলে দাঁতের ক্ষয় হবার যে প্রক্রিয়া তা ধীর হয়ে যায়।
তবে দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হলে ভাল খাবার পাশাপাশি বছরে অন্তত একবার হলেও ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়া উচিত।
আপেলে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিস্কের ডোপামিন উৎপাদন কারী স্নায়ুকোষ গুলোর ভাঙ্গনকে প্রতিরোধ করে ফলে পার্কিনসন রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।এই রোগটি বেশি বয়স্কদের হয়ে থাকে।তাই,বাড়ির বড়দের সুস্বাস্থ্যের জন্য ও আপেল জরুরী।
যারা সপ্তাহে অন্তত ৫ টি আপেল খেয়ে থাকেন তাদের ফুসফুসের স্বাস্থ্য তুলানামূলক ভাল থাকে।বিশেষ করে কফ বা ঠাণ্ডার সমস্যা দূর করতে আপেলের জুস অনেক কার্যকর।
আমাদের বাইলে যখন অতিরিক্ত পরিমাণে কোলেস্টেরল জমে তখনই গলস্টোন ফর্ম করে।আর,এই জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার বা খাদ্য আঁশ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
ফাইবারের খুব ভাল উৎস হল আপেল।সুতরাং,বলা যায় নিয়মিত আপেল খেলে গলস্টোন প্রতিরোধ সম্ভব।
আপেলে পটাশিয়াম থাকলেও পরিমাণে কম থাকে তাই,কিডনি রোগিদের জন্য আপেল খাওয়া নিরাপদ।
অনেকেই ভাবেন,মিষ্টি স্বাদের ফল বলে হয়ত
ডায়াবেটিস রোগীরা আপেল খেতে পারবেন না।আপেল সলিউবল ফাইবারের খুব ভাল উৎস।আপেলে থাকা পেক্টিন রক্তে সুগার বেড়ে যাবার প্রক্রিয়াকে ধীর করে।তাই,ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিন মাঝারি সাইজের একটি আপেল নিশ্চিন্তে খেতে পারবেন।
অনেকেই ভাবেন গ্রীন আপেল বোধ হয় সবচেয়ে ভাল।তবে,আপেলের রঙ রেড বা গ্রীন যায় হোক না কেন পুষ্টিগুণের দিক দিয়ে গ্রীন বা রেড প্রায় সমান।সুগার এবং শর্করা লাল আপেলে কিছুটা বেশি এবং গ্রীন আপেলে ফাইবার সামান্য বেশি থাকে।
সাবধানতাঃ
দীর্ঘদিন আপেল সংরক্ষণের জন্য আপেলের গায়ে এডিবল সিনথেটিক ওয়াক্স স্প্রে করা হয় যা হজম হয়না।
যা,আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেম এবং শ্বাসতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।এর ফলে,আলসার বা ইনফেকশন হতে পারে।তাই,খাবার আগে আপেল গরম পানিতে ২০-৩০ সেকেন্ড রেখে এরপর রানিং ওয়াটারে ধুয়ে নিন। ওয়াক্স চলে যাবে।