**কোমরের উপরের অংশের চর্বি কমানোর ৩টি এক্সারসাইজ**
অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে শরীরের যে সব জায়গায় ফ্যাট বেশি জমে তার মধ্যে একটা হচ্ছে কোমরের দুই পাশ। মাফিন টপ বলে ইংরেজিতে একটা কথা আছে। একটা মেয়ে জিন্স বা পায়জামা পরলে, ঠিক তার উপরের অংশের ফ্যাট দেখতে অনেকটা কাগজের কোনাগুলোয় বসে থাকা মাফিন কেকের উপরের বর্ধিত অংশের মত লাগে। শুধু খেলেই যে এমন হয় তা নয়।
বিয়ের পর স্বাভাবিক ভাবেই মেয়েরা একটু কম সচেতন হয়ে পরে তার ফিগারের ব্যাপারে। অথচ এই সময়েই সবচেয়ে বেশি এই সমস্যায় ভোগে। আবার বাচ্চা হওয়ার পর বিভিন্ন হরমোনাল চেঞ্জ এর কারণে মেয়েদের মোটা হওয়ার হার আরও বেড়ে যায়। তিনটি এক্সারসাইজ আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে চাচ্ছি, যা খুব সহজ ও কম সময়সাপেক্ষ এবং কোমরের উপরের অংশের চর্বি কমানোর জন্য বেশ কার্যকর।
আপনি ঘুমানোর আগে, রান্নার ফাঁকে ফাঁকে, বিকাল বেলা, সকাল বেলা যেকোনো সময় করতে পারেন। এতে আপনার কোন যন্ত্রপাতিরও প্রয়োজন নেই। এই এক্সারসাইজগুলোতে সরাসরি কোমরের মাংস ও চর্বির উপর প্রেসার পড়ে ও ফ্যাট বার্ন হয়। তাই আসুন দেখে নেই।
কোমরের উপরের অংশের চর্বি কমানোর এক্সারসাইজ
১. সাইড বেন্ডস
দুই পা ফাঁক করে দাঁড়ান। হাত দুই পাশে ঝুলে থাকবে। এক সাইডের হাত নীচে দিয়ে সেই দিকেরই পায়ের আঙ্গুল ছোঁওয়ার চেষ্টা করতে হবে, এর সাথে সাথে অপর হাত উপরে তুলে কোমরের উপর আনতে হবে। একই ভাবে আরেক সাইডের হাত সেই দিকের পায়ের আঙ্গুল ধরার চেষ্টা করা অবস্থায় অপর সাইডের হাত কোমরে উঠে আসবে। এভাবে ১০ মিনিট করুন অথবা ১০০ বার রিপিট করুন।
২. স্ট্যান্ডিং টুইস্ট
মাথার পেছনে হাত রাখুন, হাঁটু সামান্য ভাঁজ করে রাখুন এবং কনুই যেন প্রসারিত থাকে। এখন কোমর না নাড়িয়ে শরীর টুইস্ট করুন অর্থাৎ বাঁকান। একবার ডানে, একবার বামে। এভাবে একশ বার করে প্রতিদিন ২ /৩ বার করুন। এতে কোমরের উপরের ফ্যাট সহজে বার্ন হবে।
৩. জ্যাক নাইভস
পা টান টান করে ও হাত সোজা করে ছড়িয়ে রাখতে হবে। পায়ের আঙ্গুল সিলিং বরাবর দিয়ে ফ্লোর বা বেঞ্চে শুয়ে পড়ুন। এবার হাত টান টান করে পায়ের আঙ্গুলের দিকে ধরুন। মনে রাখতে হবে পা যেন ৪৫ বা ৯০ ডিগ্রী কোণে থাকে। কাঁধ ফ্লোর থেকে একটু উপরে উঠে থাকবে। হাতের আঙ্গুলগুলো পায়ের আঙ্গুলের কাছাকাছি আনার চেষ্টা করতে হবে যেন আঙ্গুল নাভির ঠিক উপর বরাবর থাকে। আপনার শরীর দেখতে জ্যাক নাইফ এর মত লাগবে। তারপর আবার আগের মত হাত পা টান টান করে মেঝেতে শুয়ে পড়ুন। এভাবে ৫-১০ মিনিট করে দিনে দুই থেকে তিন বার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
আরেকটা কথা আগেও বলা হয়েছে, আবারও বলতে চাই, খাবার কন্ট্রোল করা খুব জরুরী। আঁশ জাতীয় খাবার খান। ফলমূল ও শাকসবজি বেশি করে খান। পানি শরীরের যে কোন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় একটি অপরিহার্য অংশ। সুন্দর স্লিম ফিগার কার না ভালো লাগে ? শুধু ভালো লাগার ব্যাপার ছাড়াও, স্থূল শরীরে অসুখ বেশি দানা বাঁধে এটাও সবাই জানে। হার্টের সমস্যার একটি বড় রিস্ক ফ্যাক্টর হচ্ছে স্থূলতা। কাজেই সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন।