রূপচর্চায় মধু ব্যবহার নিন্মরুপ:
১. মধু প্রাকৃতকি ময়শ্চোরাইজার হিসেবে কাজ করে। বাতাস থেকে জলীয়বাষ্প ত্বকে টেনে নিয়ে দীর্ঘসময় ত্বকের গভীরে নমনীয়তা ধরে রাখে।
২. প্রতিদিন এক টবেলি চামচ মধু পরষ্কিার ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ মনিটি রাখুন। পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন আর পান কোমল ও মসৃণ ত্বক।
৩. বাইরে থেকে ফিরে মধু ও আটা দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এটি মুখে ১০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলনু। এতে মুখের পোড়াভাব কমে যাবে। মুখ হবে উজ্জ্বল।
৪. কয়েকটি বাদাম পেষ্ট করে এর সাথে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এই পেষ্ট ১৫-২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। প্রতিদিন লাগালে দারুন উপকার পাবেন।
৫. মধু ত্বক ও রোমকূপের গভীরে জমে থাকা ময়লা ও ধূলাবালি দূর করতে দারুন কার্যকর।
৬. মধুতে আছে অ্যান্টব্যিাকটেরিয়াল উপাদান, যা ত্বককে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার ও অন্যান্য জীবানুর হাত থকে বাঁচায়।
৭. এক টেবিল চামচ মধু দুই টেবিল চামচ নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে নিন। চোখ বাদে সারা মুখে ভালোভাবে ঘষে ঘষে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
৮. মধুতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এনজাইম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যা ত্বকের মৃত কোষ তুলে নতুন কোষ গঠন করেত সাহায্য করে।
৯. দুই টেবিল চামচ মধু এক টেবিল চামচ বেকিং সোডার সাথে মিশিয়ে নিন। মুখে বা শরীরে হালকা ভাবে ঘষে ঘষে লাগান। কিছুক্ষণ পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন মুখ বা শরীরের ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার হয়ে গেছে।
১০. মধুর অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান টিস্যু পুনর্গঠন করে ত্বকরে কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে।
১১. এক টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ নারকেল বা জলপাই তেল মিশিয়ে ত্বকের ক্ষতচিহ্ন বা দাগের ওপর মালিশ করুন। এরপর তোয়ালে বা কাপড় গরম করে ত্বকের ওপর ধরে রাখুন ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত। প্রতিদিন ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
১২. ত্বকের ব্রণ, লালচেভাব ও জ্বালাপোড়ার স্থানে হালকা মধু লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মধুর অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের ব্রণ, লালচেভাব ও জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।