বুক রিভিউ
বইয়ের নামঃ জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাই স্কুল
লেখকঃ হুমায়ুন অাহমেদ
বইটির নাম দেখেই বুঝা যায় এটি একটি স্কুলের নাম। মূলত এই স্কুলকে ঘিরেই সম্পূর্ণ বইটি। বাবু জীবনকৃষ্ণ রায় এই স্কুলের প্রতিষ্ঠা করেন। নীলগঞ্জ নামক একটি গ্রামীণ এলাকায় এই জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাই স্কুলটি খুব স্বল্প সংখ্যক ছাত্র নিয়ে দিন গুনছে ভালো দিনের প্রত্যাশায়। আসুন এবার মূল গল্পটি সম্পর্কে জানি।
হেডমাস্টার ফজলুল করিম সেই ১৯৬৮ সাল থেকে এই স্কুলে চাকরি করেন। তার জীবনের সবকিছু এই ছোট্ট স্কুল, স্কুলকে ঘিরে সমস্ত চিন্তা চেতনা কাজ করে। একই এলাকায় আরেকটি স্কুল নতুন করে হওয়ার কারণে এবং সেখানে সবরকম সুযোগ সুবিধা থাকার কারনে জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাই স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্ররা সে স্কুলে চলে যাচ্ছে। ফজলুল সাহেব এতে দমে না গিয়ে ছাত্রদের সর্বোচ্চ সহায়তা দিয়ে আশায় বুক বাধেন আলোর দিনের। মাওলানা ইরতাজ উদ্দীন আরবি ও ইসলামিয়াত এর শিক্ষক যিনি ফজলুল সাহেবের একজন প্রকৃত শুভাকাঙ্খী। সবসময় ভালো চিন্তা করেন। আবার মামুন সাহেব এর মতো চরিত্র অল্প সময়ের জন্য হলেও অনেক উপকারী। কাজের মেয়ে রেশমির চরিত্রটিও পরোক্ষভাবে হলেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তার যত্নে ফজলুল সাহেবের মতো উদাসীন ও নিজের প্রতি অমনোযোগী মানুষের খাওয়া চলাফেরার কোনো ত্রুটি হয় না।
নিঃশেষ হয়ে প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলটি আবার পুনরুজ্জীবিত হয়ে ওঠে বদরুল আলম নামের ছাত্রের সম্মিলিত মেধা তালিকায় ২য় স্থান অধিকার করে এস এস সি তে পাশ করায়।
একজন প্রকৃত শিক্ষক কেমন হন তা ফজলুল করিম সাহেবের চরিত্র থেকে বুঝা যাচ্ছে। তিনি নিজের শেষ সম্বল দিয়ে হলেও সবসময় চেষ্টা করে গিয়েছেন স্কুলের উন্নয়নে কাজ করার। সত্যবাদীতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে রাখার মতো গুণাবলী তার চরিত্রে বিদ্যমান।