নিজে নিজে গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালে রওনা দেবেন না
এক মুহুর্ত দেরি করবেন না হাসপাতালে যেতে। X(
কি করা উচিত?
→হার্ট এটাক হয়েছে ধরতে পারলে রোগিকে তাৎখনিক এসপিরিন/ ওয়ারফেরিন জাতীয় ওষুধ খাইয়ে দেয়া ভাল। এতে রক্ত জমাট বাঁধা বন্ধ হবে।
→জিহবার নিচে নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে দিতে হবে।:|
→রোগিকে আশ্বস্ত রাখা
চিকিৎসাঃ
হাসপাতালে নেবার পর ডাক্তার নানান ধরনের চিকিৎসা দিতে পারেন। প্রয়োজন মোতাবেক ডাক্তার আপনাকে –
→ ECG করতে পারেন
→ কৃত্তিম উপায়ে অক্সিজেন দিতে পারেন
→আপনার হাতে intra venous ফ্লুইড (মেডিসিন) দিতে পারেন
→নাইট্রোগ্লিসারিন দিতে পারেন
→এছাড়াও আপনার চিকিৎসক আপনাকে অবস্থা বুঝে অন্যান্য চিকিৎসা দিতে পারেন।
সার্জারিঃ
যদি মেডিসিনে কাজ না হয় তাহলে আপনাকে সার্জনের টেবিলে যেতে হবে যেখানে-
→এনজিওগ্রাম করে দেখা হবে আপনার ব্লক কতটুকু
→যদি ব্লক বেশি হয়, আর অষুধে কাজ হবে না বলে মনে করেন তাহলে আপনাকে এনজিওপ্লাস্টি করাতে হবে। এই পদ্ধতিতে আপনার ছোট হয়ে যাওয়া ধমনীতে কতগুলো মাইক্রো-রিং পরিয়ে দেয়া হবে।
→যদি এরপরও ভবিষ্যতে আবার হার্ট এটাক হয় তাহলে এমনকি ওপেন হার্ট সার্জারি বা বাইপাস সার্জারি করতে হতে পারে। এক্ষেত্রে সার্জন আপনার সার্জারি করে আপনার হার্টের ধমনীটিকে পা থেকে একটি শিরা (গ্রেট সাফেনাস ভেইন) কেটে নিয়ে সেটি দিয়ে ধমনীর সমস্যাযুক্ত অংশদিয়ে স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহের একটি বাইপাস রাস্তা তৈরি করে দিতে পারেন।
-এছাড়াও আপনার চিকিৎসক আপনাকে অবস্থা বুঝে অন্যান্য চিকিৎসা দিতে পারেন।
প্রতিরোধঃ:)
-ধুমপান না করা
-মাদক থেকে দূরে থাকা
-দুশ্চিন্তা না করা
-রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখা
-ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন
-কলেস্টেরন নিয়ন্ত্রন
-চর্বি জাতীয় খাদ্য কম খাওয়া
-শাকসবজি – ফল বেশি খাওয়া
-দেহের অতিরিক্ত ওজন ঝেড়ে ফেলা
-প্রতিদিন শারীরিক ব্যায়াম করা । অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা
এখন এ সম্পর্কে কিছু জানলেন। এবার সাবধানে থাকুন, ভাল থাকুন।
ডিসক্লেইমারঃ উপরোক্ত তথ্য শুধু জ্ঞানার্জনের জন্য। রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া চিকিৎসা আইনত দন্ডনীয়।