অনেকের হাত-পা জ্বালা পোড়ার সমস্যা দেখা দেয়। তবে গরমকালে অনেকেরই হাত-পা জ্বালা পোড়ার প্রবণতাটি অনেকাংশে বেড়ে যায়। মাঝে মাঝে এর প্রকোপতা এত বেশি হয় যে হাত ও পায়ের পাতা দুটি যেন মরিচ লাগার মতো জ্বলে, কখনও সুঁই ফোটার মতো বিঁধে ঝিম ঝিম করে বা অবশও লাগে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হয় পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি। নিউরোপ্যাথির বড় কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত ও দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস। রক্তে শর্করার আধিক্য ধীরে ধীরে হাত ও পায়ের স্নায়ুগুলোকে ধ্বংস করে এ ধরনের উপসর্গ সৃষ্টি করে। এছাড়াও বিভিন্ন রোগের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী এন্টিবায়োটিক সেবনেও হাত-পায়ের তালুতে জ্বালা-পোড়ার সমস্যা হয়ে থাকে। তবে সব সময় হাত-পায়ে যন্ত্রণা বা জ্বালা- পোড়া মানেই যে স্নায়ুতে সমস্যা তা নয়। আরও কিছু কারণে এ ধরনের অনুভূতির সৃষ্টি হতে পারে। যেমন : * হাত-পায়ে ছত্রাক সংক্রমণ * হাত-পায়ে রক্ত চলাচলে সমস্যা * মহিলাদের মেনোপোজের পর হাত-পায়ে জ্বালা পোড়া বেড়ে যায়। * অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপেও হাত-পা জ্বালা পোড়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। * আবার সাধারণত অনেক সময় দেখা যায় যে, পানি কম পান করলে শরীর কষে যায় এবং এতে হাত-পা ও শরীরে জ্বালা-পোড়ার প্রবণতাটাও বেড়ে যেতে পারে।কী করবেন যারা ডায়াবেটিসের রোগী তারা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন, হাত-পায়ের যত্ন নিতে শিখুন। বিশেষ করে পায়ের যত্ন। * যাদের হাত বা পায়ের স্নায়ু সমস্যা আছে, তারা পায়ের যেকোন ক্ষতের দ্রুত চিকিৎসা করুন। পায়ে গরম সেঁক নিতে, নখ কাটতে এবং জুতা বাছাই করতে সাবধান হোন। * হাত পায়ের সমস্যার জন্য সব সময় যে ভিটামিনের অভাবই দায়ী, তা নয়। তাই সব ধরনের সমস্যায় ভিটামিন বি খেয়ে উপকার নাও পেতে পারেন। * দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কমান। প্রয়োজনে চিকিৎসা নিন। * নিউরোপ্যাথি আছে প্রমাণিত হলে স্নায়ুর যন্ত্রণা লাঘব করে এমন কিছু ওষুধ পাওয়া যায়। চিকিৎসকের পরামর্শে সেগুলো সেবন করতে পারেন। * সাধারণত যারা পানি কম পান করেন তাদের উচিত বেশি পরিমাণে পানি পান করা এবং মিনারেল জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া। এতে করে হাত-পা ও শরীর জ্বালা-পোড়া অনেক অংশে কমে যাবে।