১। আয়রনের ঘাটতি
সব সময় ঠান্ডা অনুভব করা আয়রনের ঘাটতির জন্য হতে পারে। লাল রক্ত কণিকায় অক্সিজেন সরবরাহ করার প্রধান ভূমিকা রাখে আয়রন। এছাড়াও প্রতিটা রক্ত কোষে পুষ্টি উপাদান পৌঁছে দিতেও সাহায্য করে আয়রন। পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন ছাড়া লাল রক্ত কণিকা তাদের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারেনা এবং আয়রনের অভাব হলেই আপনি ঠান্ডা ও কম্পন অনুভব করেন।
২। শরীরের ওজন কম হলে
আপনার ক্যালরি গ্রহণের মাত্রায় কার্পণ্য করলে আপনার বিপাক বাধাগ্রস্থ হয়। যার ফলে দেহের ওজন কমতে থাকে। আমিষ, চর্বি ও শর্করাজাতীয় স্বাস্থ্যকর খাবার খান। এর মাধ্যমে শরীরের বিপাকের হার বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে তাপ উৎপন্ন হয়।
৩। ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি
অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি ঠান্ডা অনুভব করার আরেকটি কারণ হতে পারে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি। শরীরের প্রতিটা তন্ত্রে লাল রক্ত কণিকা পরিবহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন বি ১২। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ না গ্রহণ করলে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতির ফলে আপনার সব সময় ঠান্ডা অনুভব হতে পারে।
৪। নিষ্ক্রিয় থাইরয়েড
মধ্যবয়সী মহিলাদের বর্ণনাতীত অবসাদে ভুগতে দেখা যায়। ঔষধের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় থাইরয়েডের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিন। দেখবেন খুব দ্রুতই আপনি ঠান্ডা লাগার পরিবর্তে উষ্ণতা অনুভব করবেন।
৫। রক্ত সংবহন কম হলে
আপনার হাত-পা সবসময় ঠান্ডা হয়ে থাকার আরেকটি কারণ হতে পারে আপনার রক্ত সংবহনের সমস্যা। অত্যধিক ধূমপানের ফলে রক্তনালীগুলো সরু হয়ে যায়, ফলে রক্ত সংবহন ও কমে যায়।
৬।পর্যাপ্ত ব্যায়াম করছেন না:নিয়মিত ব্যায়াম করলে হার্ট ও ফুসফুসের কার্যকারিতা অনেক বৃদ্ধি পায়। সারাদেহে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ও অক্সিজেন ঠিকভাবে প্রবাহিত হয়। জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এক গবেষণায় জানা যায় যে, যে সকল স্বাস্থ্যবান বয়স্ক মানুষ সপ্তাহে ৩ দিন ২০ মিনিট ব্যায়াম করেন তারা কম অবসাদগ্রস্থ হন এবং ৬ সপ্তাহ পরেই তাদেরকে অনেক বেশি এনার্জিসম্পন্ন হতে দেখা যায়।