ভালোবাসা হচ্ছে হঠাৎ বা ধীরে ধীরে ঘটে যাওয়া এক সম্পর্কের
আবর্তের নাম। হঠাৎ আসুক আর ধীরে আসুক ভালোবাসা কিন্তু কারও
জীবনে বলে কয়ে আসে না। কারও জীবনে হঠাৎ করে আসে
আবার কারও প্রতি ধীরে ধীরে ঘটে যায়। সোজা কথা একের প্রতি
অন্যের প্রচণ্ড এক মানসিক আশক্তির নাম ভালোবাসা। জীবন আর
ভালোবাসা একে অপরের পরিপূরক। এক জীবনের সাথে অন্য
জীবনের পরিপূর্ণতার জন্যই কিন্তু ভালোবাসার প্রয়োজন। জাগতিক
জীবনের দুটি দিক আমাদের সামনে উন্মোচিত। এর একটি হলো
ভালো অপরটি মন্দ। স্বভাবতই ভালো দিকের উল্টো দিকে যেমন
মন্দ আছে তেমনি ভালোবাসার বিপরীতে বিরহের জ্বালাও আছে।
কাছের মানুষের সাথে ছাড়াছাড়ি অথবা ভালোবাসতে গিয়ে প্রত্যাখ্যানের
নেতিবাচক দিকটি আমাদের সম্পর্ককে প্রশ্নের মুখোমুখি করে
দেয়। আর এই সম্পর্কগুলো থেকে পাওয়া দুঃখজনক অভিজ্ঞতার জন্য
অনেক সময়ই ভালোবাসার প্রতি বিতৃষ্ণা জম্ম নেয়। তখন আমরা অন্যের
প্রতি ভালোবাসার কোনো মানেই খুঁজে পাই না। গভীর হতাশায়
নিমজ্জিত হই। জীবনের সুন্দর ও ভালো দিকগুলো তখন আমাদের
কাছে অসুন্দর হয়ে ধরা দেয়। সবকিছু কেমন জানি পরিত্যক্ত মনে হয়।
তারপরও আমরা ভালোবাসি। হয়তো কখনও সঠিক মানুষটির খোঁজ পাই...কখনও
পাই না, কখনও ভুল মানুষকেই আপন ভেবে নিয়ে চলতে থাকে দিন।
হয়তোবা দেখা যায় সেই ভুলের মাসুল দিতে গিয়ে একদিন জীবনের
ছন্দ পতন। সময় আর স্রোত কারও জন্য বসে থাকে না। জাগতিক নিয়মেই
হয়তো আবার ভালোবাসা নয়তো আবার ভুল মানুষ, এভাবেই চলতে
থাকে সময়। হতাশাবাদী দলে যারা আছেন তাদের মনে প্রশ্ন জাগাটা
স্বাভাবিক। তাদের প্রশ্ন ভালোবাসা কেন? মানুষের বেঁচে থাকার
প্রয়োজনের সাথে ভালোবাসার সামঞ্জস্য কোথায়? ভালোবাসা
আসলে আমাদের কী দেয়? এভাবেই নানা প্রশ্ন তাদের মাথায় কিলবিল
করতে থাকে। সব হতাশা ছাপিয়ে তারপরও মানুষ ভালোবাসে, তারপরও মানুষ
জীবনের তাগিদে বেঁচে থাকে।