জেনে নিন নারীদের সন্তান ধারণ ক্ষমতা হারানোর প্রধান কারণ
একজন নারী mother হওয়ার মাধ্যমে তার পূর্ণতা পায়। তবে বর্তমানে শতকরা ৩৩ ভাগ নারীর মধ্যে baby ধারণ ক্ষমতা সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েও অনেক সময় এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় না। নারীদের কয়েকটি শারীরিক কারনে এই সমস্যার সৃস্টি হয়। এই সমস্যাগুলো হলোঃ
১) ডিম্বানুর পরিমাণ কমে যাওয়াঃ নারীদের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তাদের ডিম্বাণু তৈরির ক্ষমতাও কমতে থাকে। বিশেষ করে ৩৫ বছর পর মেয়েদের বাচ্চা (baby) ধারণ করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ অধিকাংশ নারী এই বয়সের পর বাচ্চা (baby) ধারণ করার মতো ডিম্বাণু তৈরিতে অক্ষম হয়ে পড়ে।
২) ওভুলেটিং সমস্যাঃ অধিকাংশ মেয়েদের ক্ষেত্রেই দখা যায় তাদের period নিয়মিত হয়না। মাসিক অনিয়মিত হওয়ার কারণে ওভারিতে ডিম্বাণু পরিপূর্ণভাবে তৈরি হতে পারে না। ওভারিতে সুস্থ-সবল ডিম্বাণু তৈরি না হলে নারীদের বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা সৃস্টি হতে পারে। এই সমস্যা থেকে দূরে থাকার জন্য ওজন সঠিক রাখা এবং প্রজনন সংক্রান্ত পরামর্শ নিয়ে ফার্টিলিটি ঔষধ সেবন করতে হবে।
৩) এন্ডোমেট্রিওসিসঃ নারী দেহের অভ্যন্তরে ইউরোসের পরিবর্তে অন্য কোনো স্থানে এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু তৈরি হলে নারীরা baby ধারণ করতে অক্ষম হয়ে পড়ে। এছাড়াও মেয়েদের পেলভিক অংশে প্রচণ্ড ব্যথা, মাসিকের সময় খুবই অস্বাভাবিক ব্লিডিং থাকা এবং যৌন মিলনে অতিরিক্ত ব্যথা হওয়ার সমস্যা অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া খুবই জরুরি।
৪) পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমঃ ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া, দেহ ও মুখের লোম অতিরিক্ত increase পাওয়া এবং অনিয়মিত মাসিক এই সমস্যার প্রধান লক্ষণ। হরমোনের ভারসাম্য না থাকায় ওভারির ভেতরের ছোট্ট ফলিকলগুলো বড় হওয়া ও পরিপূর্ণ হওয়া বন্ধ করে দেয়। আর তখনই এই সমস্যার সৃস্টি হয়।
যৌন মিলন হওয়ার পর নাপাক পানি (বীর্য) ভিতরে কয়বার ঢুকাতে হবে।পানি যদি না ঢুকে তাহলে কি baby হবে?
উত্তরঃ বাচ্চা (baby) নিতে চাইলে অবশ্যই যোনির ভিতরেই বীর্যপাত করতে হবে। যোনির ভিতর বীর্যপাত না করলে বাচ্চা (baby) হবে না। কেননা ছেলেদের বীর্যতে থাকে শুক্রকীট ও নারীদের জরায়ুতে থাকে ডিম্ব।
ডিম্ব শুক্রকীটের সঙ্গে মিলিত হবার জন্য নারীর জরায়ুতে অপেক্ষমান থাকে। ডিম্ব ও শুক্রকীটের মিলনের ফলে মানব ভ্রূণের সৃষ্টি হয় এবং আস্তে আস্তে তা মানবরূপে ধারণ করে।
বাচ্চা নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সংখকবার সহবাস করার প্রয়োজন নেই। একবার সহবাস করার দ্বারাই বাচ্চা (baby) হবে যদি ঐ একবার সহবাস করার বীর্যের কীট নারীর জরায়ুতে অপেক্ষমাণ থাকে ডিম্বের সাথে মিলিত হতে পারে।
জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি গুলো এই কাজটিই করে। ডিম্বের সাথে শুক্রকীটের বাঁধা সৃষ্টি করে। যার কারণে ডিম্বের সাথে শুক্রকীটের মিলন ঘটেনা। যার ফলে বাচ্চা হয় না। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
আপনি যদি জন্মনিয়ন্ত্রণের কোন পদ্ধতি ব্যবহার না করেও বাচ্চা (baby) নিতে চাচ্ছেন কিন্তু পারছেন তাহলে এখানে আপনার চিকিৎসার প্রয়োজন আছে। আপনি নীচে দেওয়া পোস্ট গুলো থেকে আরো সাহায্য পেতে পারেন।
বাচ্চা (baby) নেওয়ার উপযুক্ত সময়
নারীর গর্ভে বেবি ধারণের জন্য কিছু উপযুক্ত সময় আছে। এই সময় গুলো সহবাস করলে গর্ভে সন্তান বা বেবি আসে। তাই বাচ্ছে গর্ভে ধারণের জন্য বাচ্চা নেওয়ার উপযুক্ত সময় গুলো সহবাস করে বাচ্ছা নেওয়ার চেষ্টা করুন।
বাচ্চা (baby) নেওয়ার পদ্ধতি
আপনি যদি সহবাসের দ্বারা বাচ্ছা নিতে চান তাহলে সহবাসের সময় বাচ্চা (baby) নেওয়ার পদ্ধতি সেক্স পজিশন গুলো ব্যবহার করুন। এই সহবাসের পজিশন গুলো দ্বারা সহবাস করলে নারীর গর্ভাশয়ে পুরুষের বীর্য ভালোভাবে পৌঁছায় এবং সহজে নারীর গর্ভে সন্তান আসে।
সন্তান গর্ভে ধারণের জন্য স্বাভাবিক পদ্ধতি গুলো প্রয়োগ করার পরেও যদি নারীর গর্ভে বাচ্ছা না আসে তাহলে মেডিকেলের পরিভাষায় একে বন্ধ্যাত্ব বলে। আর এর জন্য স্বামী স্ত্রী দুইজনেই দ্বায়ী হতে পারে অথবা দুই জনের মধ্যে যেকোন একজন দ্বায়ী হতে পারে।