যক্ষ্মা কেবল ফুসফুসেই হয় না, দেহের যে কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেই হতে পারে। ফুসফুসের বাইরে লসিকা গ্রন্থির যক্ষ্মা বা টিবি লিম্ফোডিনাইটিস বেশি হয়ে থাকে। আমাদের দেশে লসিকা গ্রন্থির যক্ষ্মা একটি সাধারণ সমস্যা।
লসিকা গ্রন্থির যক্ষ্মা
আমাদের সারা দেহে জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে অতি সূক্ষ্ম লসিকা নালি ও দেহের বিভিন্ন স্থানে লসিকা গ্রন্থি বা নোড রয়েছে। এই নিয়ে লসিকাব্যবস্থা গঠিত। এর প্রধান কাজ রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করা, রক্তে চর্বি বহন করা। যক্ষ্মার জীবাণু এই লসিকাব্যবস্থাকে আক্রমণ করে গ্রন্থিতে বাসা বাঁধে। ফলে লসিকা গ্রন্থিগুলো জায়গায় জায়গায় ফুলে ওঠে। যেমন : গলার সামনে দুদিকে বা বগলে, কুঁচকির দুই পাশে। কখনও বুক বা পেটের ভেতরকার গ্রন্থিও আক্রান্ত হয়। ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বেশি। এ ছাড়া ঘন জনবসতি বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস, যক্ষ্মা রোগীর সংস্পর্শ, কোনো কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া, এইচআইভি সংক্রমণ ইত্যাদি এ রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।