হরমোন সমস্যায় ভূগছেন কিনা ৭টি লক্ষণে বুঝে নিনঃ
১. মেজাজ পরিবর্তন হওয়া: মাসিকের সময় বার বার মেজাজের পরিবর্তন হওয়াও হরমোন ভার্যসাম্যহীনতার অন্যতম একটি কারণ। বেশির ভাগ মধ্য বয়সী নারীরা ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন সমসযায় পড়ে থাকেন। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা মেনোপজের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
২. ওজন বৃদ্ধি পাওয়া: হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ইনসুলিন এবং মেটাবলিজমের মাত্রাকে পরিবর্তন করে থাকে। এটি আপনার শরীরে চর্বি কাটাকে বাধাগ্রস্ত করে থাকে। যার কারণে আপনি দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে থাকেন। খাদ্যভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন আনুন। বাইরে খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন, চিনি, প্রসেসড ফুড খাওয়া বন্ধ করুন।
৩. ক্লান্তবোধ করা: অবসাদ, ক্লান্তবোধ করা হরমোন ভারসাম্যহীনতার অন্যতম একটি কারণ। ঘুম থেকে উঠার পর ক্লান্তবোধ করা, অবসাদ বোধ করা হরমোন ভারসাম্যহীনতার কারণে হতে পারে।
৪. অবাঞ্চিত লোম: আপনার মাসিকের সময় যদি অবাঞ্চিত লোম বৃদ্ধি পায়, তবে বুঝতে হবে আপনি হরমোন ভারসাম্যহীনতায় ভুগছেন। এমনকি অনেক সময় এটি PCOS এর প্রথম লক্ষণ হয়ে থাকে।
৫. ব্রণ: ছেলে মেয়ে উভয় ব্রণ সমসযায় ভুগে থাকেন। এটি ত্বকের খুব সাধারণ একটি সমস্যা। কিন্তু আপনার থুতনিতে যদি অনেক বেশি ব্রণ হয়ে থাকে এবং তা দীর্ঘদিন স্থায়ী হয় তবে আপনি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সমস্যায় ভুগছেন।
৬. অতিরিক্ত ঘাম: সেরোটোনিন নামক হরমোনের উঠা নামার কারণে অতিরিক্ত ঘাম হয়ে থাকে। এছাড়া নারীর শরীরে মেনোপজ বা পেরিমেনোপজের সময় হরমোন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। যার কারণে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দেখা দেয়। অনেকের রাতে অতিরিক্ত ঘাম হয়ে থাকে, এটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে হয়ে থাকে।
৭ অনিদ্রা: শারীরিক বিষণ্ণতা, কর্টিসল মাত্রার বৃদ্ধির কারণে অনিদ্রা এবং ঘুমের সমস্যা হয়ে থাকে। যা মূলত হরমোনের ভারসাম্যহীনতারা কারণে হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন যদি অনিদ্রা সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে বিলম্ব না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে থাকেন।
এছাড়া অতিরিক্ত চুল পড়া, স্তনের আকৃতির পরিবর্তন, হজমের সমস্যা ইত্যাদিও হরমোন ভার্যসাম্যহীনতার কারণে হয়ে থাকে।