৩৮তম বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি
অসমাপ্ত আত্নজীবনী সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ন সব তথ্য একসাথে দেওয়া হলো,
ইংরেজীতে- The Unfinished Memoirs.
★প্রথম প্রকাশঃ ২০১২।
★প্রকাশকঃ মহিউদ্দিন আহমেদ, দি ইউনিভার্সটি প্রেস লিমিটেড।
★প্রচ্ছদঃ সমর মজুমদার।
★কম্পিউটার ফরমেটিং: মোঃ নাজমুল হক।
★কনসাল্টিং এডিটরঃ বদিউদ্দিন নাজির।
★কম্পিউটার গ্রাফিক্স ও স্ক্যানঃ ধনেশ্বর দাশ চম্পক।
★গ্রন্থস্বত্বঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাষ্ট ২০১২।
★পৃষ্ঠাঃ ৩২৯।
★মূল্যঃ ৫২৫ টাকা।
★রচনাকালঃ ১৯৬৬ – ৬৯।ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ থাকা অবস্থায়।গ্রন্থটিতে বঙ্গবন্ধু ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ওনার আত্নজীবনী লিখেছেন।
★আত্নজীবনীটি প্রকাশে যাঁরা নিরলসভাবে কাজ করেছেনঃ শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, আবদুর রহমান রমা, মনিরুন নেছা, ইতিহাসবিদ প্রফেসর এ এফ সালাহউদ্দীন আহমেদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর শামসুল হুদা হারুন, অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, বেবী মওদুদ।
★ভূমিকা লিখেনঃ শেখ হাসিনা।প্রথমবার ২০০৭ সালে কারাবন্দী অবস্থায়, পরবর্তিতে ২০১০ সালে গণভবন থেকে।
★বইটির প্রথম লাইনঃ বন্ধুবান্ধবরা বলে তোমার জীবনী লেখ।
★শেষ লাইনঃ তাতেই আমাদের হয়ে গেল।
★বঙ্গবন্ধুর লেখা আত্নজীবনীর ৪ খানা খাতা শেখ হাসিনার হাতে আসেঃবঙ্গবন্ধুর মহাপ্রয়াণের ২৯ বছর পর ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার পর পরই।
★বঙ্গবন্ধু ওনার বাংলার মানুষদের একটি বিশেষণে বিশেষায়িত করতেন, সেটি হলঃ দুঃখী মানুষ।
★অনুবাদঃ ১) অসমাপ্ত আত্মজীবনী এ পর্যন্ত অনূদিত হয়েছে— ১১টি ভাষায়।
১. ইংরেজি (অনুবাদক: ফখরুল আলম, ১৮ জুন ২০১২)
২. জাপানি (অনুবাদক: কাজুহিরো ওয়াতানাবে, ২ আগস্ট ২০১৫)
৩. চীনা (অনুবাদক: চাই শি, ২৮ জানুয়ারি ২০১৬)
৪. আরবি (অনুবাদক: ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ২০১৬)
৫. ফরাসি (অনুবাদক: অধ্যাপক ফ্রান্স ভট্টাচার্য, ২৬ মার্চ ২০১৭)
৬. হিন্দি (অনুবাদক: ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ৮ এপ্রিল ২০১৭)
৭. তুর্কি (অনুবাদক: তুরস্কের আতার্তুক সংস্কৃতি ও গবেষণা কেন্দ্র, ২৭ মার্চ ২০১৮)
৮. নেপালি (অনুবাদক: অর্জুন বাহাদুর থাপা ও মহেশ পাউডেল, ৮ অক্টোবর ২০১৮)
৯. স্প্যানিস (অনুবাদক: বেঞ্জামিন ক্লার্ক, ১১ অক্টোবর ২০১৮)
১০. উর্দু (অনুবাদক: পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়)
১১. অসমী (অনুবাদক: সৌমেন ভারতীয়া ও জুরি শর্মা, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮)
২) অসমাপ্ত আত্মজীবনী এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে— ১২টি ভাষায় (বাংলাসহ)।
★বইটিতে যা আছেঃ আত্নজীবনী লেখার প্রেক্ষাপট, বংশ পরিচয়, শৈশব, শিক্ষাজীবন, দুর্ভিক্ষ, বিহার ও কলকাতার দাঙ্গা, দেশভাগ, প্রাদেশিক মুসলিম ছাত্রলীগ ও মুসলিম লীগের রাজনীতি, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক মুসলিম লীগের অপশাসন, ভাষা আন্দোলন, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা, যুক্তফ্রন্ট সরকার, আদমজীর দাঙ্গা, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক শাসন।এছাড়াও আছে লেখকের কারাজীবন, পিতা মাতা, সন্তান সন্ততি ও সর্বোপরি সর্বংসহা সহধর্মিণীর কথা। ★বঙ্গবন্ধুকে বলা ওনার পিতার উক্তিঃ Sincerity of purpose and honesty of purpose.
★বঙ্গবন্ধুর মা শেরে বাংলাকে উদ্দেশ্য করে ওনাকে বলেনঃ বাবা যাহাই কর, হক সাহেবের বিরুদ্বে বলিও না। ★শেরে বাংলা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর উপলব্ধিঃ শেরে বাংলা মিছামিছিই শেরে বাংলা হন নাই।বাংলার মাটি ও তাঁকে ভালবেসে ফেলেছিল।যখনই হক সাহেবের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেছি, তখনই বাধা পেয়েছি।
বঙ্গবন্ধু শেরে বাংলাকে নানা বলে ডাকতেন।
★বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে শেরে বাংলার উক্তিঃ আমি বুড়া আর মুজিব গুড়া, তাই ওর আমি নানা ও আমার নাতি। ★হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে উদ্দ্যেশ্য করে বঙ্গবন্ধুর অভিমানী উক্তিঃ If I am nobody, then why have yoi invited me? You have no right to insult me.I will prove that I am somebody. Thank you sir. I will never come to you again.
★বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনা কে ডাকতেনঃ হাচু।
★পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ গঠনের সময় অলি আহাদের প্রস্তাব ছিল, এর নামকরন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ করা হোক।
★যাদের গান শুনে বঙ্গবন্ধু মুগ্ধ হয়েছিলেনঃ আব্বাসউদ্দিন আহমেদ, সোহরাব হোসেন, বেদারউদ্দিন সাহেব।
★দার্শনিক বঙ্গবন্ধুঃ ১।একজন মানুষ হিসাবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি।একজন বাঙালি হিসাবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়।এই নিরন্তর সম্পৃিক্তির উৎস ভালোবাসা, অক্ষয় ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে। ২।রাজনৈতিক কারণে একজনকে বিনা বিচারে বন্দি করে রাখা আর তার আত্বীয়স্বজন ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে দূরে রাখা যে কত বড় জঘন্য কাজ তা কে বুঝবে? মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়।
★বইটির এমন একটি ঘটনা বলুন, যা আপনাকে প্রবলভাবে নাড়া দেয়ঃ(নিজের ভাষায়)
১।বঙ্গবন্ধু ছিলেন এমন একজন মানুষ, যাঁকে কোন বিশেষণে বিশেষায়িত করার মত শব্দভাণ্ডার আমার নেই।বঙ্গবন্ধু ওনার নিজের আত্নজীবনী লিখতে গিয়ে নিজেকে নয় বরং অন্যদেরকেই নায়ক করে তুলেছেন।যেমন শেরে বাংলা আবুল কাসেম ফজলুল হকের জনপ্রিয়তাকে তিনি স্পষ্টভাবে বইটিতে ফুটিয়ে তুলেছেন।বঙ্গবন্ধু নির্ধিদ্বায় লিখেছেনঃ একদিন আমার মনে আছে একটা সভা করছিলাম আমার নিজের ইউনিয়নে, হক সাহেব কেন লীগ ত্যাগ করলেন, কেন পাকিস্তান চান না এখন? কেন তিঁনি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির সাথে মিলে মন্ত্রীসভা গঠন করছেন? এই সমস্ত আলোচনা করছিলাম, হঠাৎ একজন বৃদ্ধলোক যিনি আমার দাদার খুব ভক্ত, আমাদের বাড়িতে সকল সময়ই আসতেন, আমাদের বংশের সকলকে খুব শ্রদ্ধা করতেন—- দাড়িয়ে বললেন, যাহা কিছু বলার বলেন, হক সাহেবের বিরুদ্বে কিছুই বলবেন না।তিঁনি যদি পাকিস্তান না চান, আমরাও চাইনা।
জিন্নাহ কে? তার নামও তো শুনি নাই। আমাদের গরিবের বন্ধু হক সাহেব। বঙ্গবন্ধু একজন সাদা মনের মানুষ ছিলেন বিধায় তিঁনি লিখেছেন, শুধু এইটুকু না, যখনই হক সাহেবের বিরুদ্ধে কালো পতাকা দেখাতে গিয়েছি, তখনই জনসাধারণ আমাদেরকে মারপিট করেছে।অনেক সময় ছাত্রদের নিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি, মার খেয়ে।
২।১৯৩৭ সালে বঙ্গবন্ধু ওনার গৃহশিক্ষক আবদুল হামিদ এম এস সি এর উদ্বোগে মুসলমানবাড়ি থেকে প্রত্যেক রবিবার মুষ্ঠি ভিক্ষার চাল ওঠাতেন।এই চাল বিক্রি করে তিনি গরিব ছেলেদের বই এবং পরীক্ষার ও অন্যান্য খরচ দিতেন।