সর্বোৎকৃষ্ট খাদ্যের মধ্যে লেবু অন্যতম। লেবুর রয়েছে অনেক উপকারি শক্তি। খুব অল্প লোকের ই লেবুর প্রতি এলারজি আছে। এদের মধ্যে আপনি নেই তো??? লেবুর প্রতি বিরক্ত থাকলে এর উপকারিতা গুলো থেকে আপনাকে বঞ্ছিত হতে হবে।
তো জেনে নেই এর শক্তি গুলো কি কিঃ
১. লেবুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা এন্টিসেপটিক ও ঠাণ্ডা লাগা প্রতিরোধ করে।
২. সামান্য গরম পানিতে একটু লেবুর রস, কি যে উপকারি!!! পরিপাক প্রক্রিয়াকে কার্যকর করে আর লিভারকে রাখে সতেজ। গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় কার্যকর।
৩. লেবুর খোসা শুকিয়ে গুড়ো করে রাখতে পারেন। আর ব্যবহার করতে পারেন গোসল করার সময়। শরীরকে করবে ঠাণ্ডা , আর আরাম অনুভব করবেন ব্যাপক। এছাড়া এ গুড়ো মাথাব্যথা দূর করবে।
৪. ব্রণে লেবুর রস দিলে ব্রণ দূরীভূত হবে আর নতুন ব্রণ উঠতে বাধা প্রধান করবে।
৫. লেবু হচ্ছে প্রাকৃতিক ত্বক পরিস্কারকারি । এটি ত্বক কালো হওয়ার জন্যে দায়ী মেলানিন কমায় এবং মেলানিন উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়। তাই আপনার ত্বক থাকবে সজীব আর উজ্জ্বল।
৬. লেবুর ভিটামিন সি ক্যান্সারের সেল গঠন প্রতিরোধ করে।
৭. লেবু বুক জ্বালা প্রতিরোধ করতে ও আলসার সারাতে সাহায্য করে।
৮. লেবু শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করে।
৯. লেবু ওজন কমাতে সাহায্য করে।
১০. লেবু হজমে সহায়ক ও হজমের সমস্যা দূর করে।
১১. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
১২. শরীরের ভেতরের টক্সিন দূর করে, অন্ত্রনালী, লিভার ও পুরো শরীরকে পরিষ্কার রাখে।
১৩. পেট ফোলাজনিত সমস্যা কমায়।
১৪. রক্ত পরিশোধন করে।
১৫. ঠাণ্ডা লাগলে জ্বর, গলাব্যথায় ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
১৬. শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি হলে ভালো কাজ করে।
১৭. শ্বাসনালীর ও গলার ইনফেকশন সারাতে সাহায্য করে।
১৮. লেবু স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
১৯. এটি রক্তচাপ ( ব্লাড পেসার) কমায় আর রক্তে এইচ ডি এল ( ভালো কলেস্তরল) বাড়ায়।
২০. লেবু কোলন, প্রোস্টেট এবং ব্রেস্ত ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্যাপক ভুমিকা পালন করে। কোষের উল্টাপাল্টা পরিপাকে বাধা দেয়, যেটি মূলত ক্যান্সার এর জন্যে দায়ী। এটি কোষের নাইট্রোসো এমিন প্রস্তুতিতে বাধা দেয়।
২১. সংক্রমনের বিরুদ্ধে লেবু কার্যকর ভুমিকা পালন করে। এটি রক্তের শ্বেতকনিকা বৃদ্ধি করে যা জীবাণু ধ্বংস করে। এছাড়া এন্টিবডি উৎপাদনে সহায়তা করে।
২২. লেবু আর্থাইটিসের রোগীদের জন্য ভালো ।