কাদের ঝুঁকি বেশি:
যাদের মাসিক খুব কম বয়সে শুরু হয় কিংবা দেরিতে শেষ হয়।
মেনোপজ বা মাসিক বন্ধ হওয়ার পরে বেশি হয়
ফর্সা মেয়েদের আক্রান্ত হওয়ার হার তুলনামূলকভাবে বেশি
পরিবারে মা, খালা কারো হয়ে থাকলে হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়
বন্ধ্যাদের ক্ষেত্রে বেশি হয়
লক্ষণসমূহ:
স্তনে শক্ত চাকার মত অনুভূত হয় যা অনেকটা পাথরের মত শক্ত।
এটা সাধারণত স্তনের উপরের দিকে এবং বাইরের অংশে হয়ে থাকে।।
চাকাটি একদম শক্ত হয়ে লেগে থাকবে, চাইলেই একে নাড়ানো যাবে না।
. স্তনের বোঁটা থেকে অকারণে তরল জাতীয় পদার্থ নিঃসরন হতে পারে,
স্তনের বোঁটা থেকে রক্তও পড়তে পারে
বগলে কিংবা ঘাড়ে কোন চাকা অনুভূত হতে পারে
. পুরো স্তনের বর্ণ বা রঙ বদলে যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, স্তনের স্বাভাবিক রঙ ও আকার পরিবর্তন অনেক বিপদজনক লক্ষণ।
অনেক সময় স্তনের ত্বক লালচে যেমন: কমলার খোসার মতো এবং গর্ত-গর্ত হয়ে যায়
. সাধারনত ব্যথা অনুভূত হয় না
. অনেকের ক্ষেত্রে স্তনের বোঁটা ভিতরের দিকে ঢুকে যেতে পারে এবং স্তনের বোঁটার চামড়া উঠে যেতে থাকে।
যেসব কারনে স্তনে ব্যথা হতে পারে:
১. মাস্টাইটিস বা স্তনের প্রদাহ
২. ব্রেস্ট অ্যাবসেস বা স্তনে ফোঁড়া জাতীয় সমস্যা
৩. ফাইব্রো এডেনোসিস
৪. সিস্ট
কিভাবে স্তন পরীক্ষা করবেন ঃ
১, যে সব মহিলার বয়স ২০-৩০ তারা প্রতি মাসে একবার মাসিক বা ঋতুস্রাবের এক সপ্তাহ পরে, সাধারণতঃ গোছল করার সময় বা পোশাক পরিধান করার সময় এই পরীক্ষা করা বাঞ্ছনীয়। যাদের বয়স ৪০-৫০ বছর তারা প্রতি ৩ বছর পর চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করবেন, স্তনে কোন অসামঞ্জাস্য দেখা দিলে।
২. আয়নার সামনে দুপাশে হাত রেখে দাঁড়ান। দু‘দিকের স্তনের মধ্যে কোনও অসামঞ্জস্য আছে কিনা লক্ষ্য করুন। এবার দু’হাত ওপরে তুলুন-মাথার দুই পার্শে রাখুন। দেখুন দু’দিকে কোন অসামঞ্জস্য আছে কিনা ?
৩.হাতের তালু দিয়ে প্রথমে এক দিকের স্তন ও পরে অন্য দিকের স্তন পরীক্ষা করুন। কোন প্রকার চাকা বা ফোলা আছে কিনা লক্ষ্য করুন।
৪. এবার দেখুন নিপলের কোন পরিবর্তন হয়েছে কি না? যদি দেখা যায় একটি নিপল ভেতরের দিকে ঢুকে যাচ্ছে বা নিপলের চার পাশে কোন ফুসকুড়ি বা ঘা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
৫. স্তনের বোটা বা নিপল থেকে কোন প্রকার রক্ত বা রসজাতীয় পদার্থ বের হচ্ছে এমন লক্ষ্য করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সহজেই স্তনে চাকা বা গুটলি ও বাহুমূলে স্তন ব্যথা অনুভব হয়।