যে লক্ষণ গুলো দেখে বোঝা যাবে আপনি কিডনি রোগে আক্রান্ত কিনা????
কিডনি রোগ হল নীরব ঘাতক।অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনেকটা নীরবে একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে কিডনি রোগ ধরা পড়ে।সুতরাং,নিচের লক্ষণ গুলো থেকে দেখে নিতে পারেন এমন কোন অস্বাভাবিকতায় আপনি ভুগছেন কিনা?
কিডনির কার্যকারীতা কমে গেলে এরিথ্রোপোয়েটিন নামক হরমোনের পরিমাণ কমে যায়।ফলে,লোহিত রক্ত কনিকার উৎপাদন ও কমে যায়।এই অবস্থাকে এনিমিয়া বলে।ফলে,কিডনিতে কোন ধরণের সমস্যা হলে ক্লান্ত হওয়া এবং মনোযোগের অসুবিধা হওয়ার মত সমস্যা ঘটে।
গরমের মধ্যে সবাই যখন ঘামছে আপনার অবস্থা ঠিক উলটো হতে পারে।আপনার শীতে যায় যায় অবস্থা হতে পারে।এর কারণ হল কিডনির কার্যকারীতা কমে গেলে লোহিত রক্ত কনিকা তৈরি হতে পারেনা।ফলে, রক্তশূন্যতার কারণে এমন হয়।
শ্বাস কষ্ট দুই ভাবে কিডনির সমস্যার সাথে জড়িত থাকতে পারে।প্রথমত,শরীরের অতিরিক্ত তরল লানে বিল্ড আপ হতে পারে এবং দ্বিতীয়ত অক্সিজেন বহনকারী লোহিত রক্ত কনিকার অভাব।শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ কম হলে এমন হতে পারে।সুতরাং,জীবনের যেকোন সময় হুট করে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে কোন ভাবেই অবহেলা করার সুযোগ নেই।
কিডনির কার্যকারীতার সাথে এনিমিয়ার সম্পর্ক রয়েছে।মানে আপনার মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত অক্সিজেন পাচ্ছেনা।ফলাফল হতে পারে মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।আপনি,যদি এনিমিয়াতে আক্রান্ত হন তবে ঠিক কি কারণে এনিমিয়াতে আক্রান্ত হয়েছেন সেটা বের করার চেষ্টা করুন।
সুস্থ কিডনি আমাদের দেহের সমস্ত বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়।কিন্তু কিডনি সঠিক ভাবে কাজ না করতে পারলে এই বর্জ্য পদার্থ রক্তে থেকে যায়।ফলাফল,প্রচণ্ড চুলকানির সৃষ্টি।তাই,চুলকানি হলে নিজে নিজে ডাক্তারি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
কিডনি যখন সঠিক ভাবে কাজ করতে পারেনা তখন দেহ থেকে অতিরিক্ত তরল বের হতে পারেনা।এই অতিরিক্ত তরল আমাদের দেহের বিভিন্ন স্থানে বিল্ড আপ হয়।ফলে,চোখের নীচে হাত বা পায়ের পাতায় পানি জমার ফলে ফুলে যায় বা ইডিমা হয়।
সাধারণ অবস্থায় সুস্থ কিডনি ইউরিনের মাধ্যমে অতিরিক্ত তরল এবং টক্সিক উপাদান সমূহ শরীর থেকে বের করে দেয়।কিন্তু কিডনির সমস্যা থাকলে এই টক্সিক উপাদান সমূহ রক্তে থেকে যায়।ফলে ঘুমের সমস্যা হয়।
যখন কিডনির ফিল্টার গুলো ড্যামেজ হয়ে যায় তখন বার বার মূত্র ত্যাগের চাপ অনুভূত হয় যা কিডনি রোগের কারণ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।এছাড়া,যদি ইউরিন ত্যাগের সময় বুদবুদ যুক্ত ইউরিন দেখা যায় তবে সেটিও আমলে নেয়া উচিত।
কিডনির সমস্যা হলে রক্তচাপ বেড়ে যায়।আবার,বলা যায় যাদের রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকে তাদের কিডনির জটিলতা হবার সম্ভাবনা বেশি।
কিডনির কার্যকারিতা কমে গেলে ক্ষুধা কমে যাওয়া,রক্তে বর্জ্য পদার্থ থাকার কারণে কিডনি রোগীদের নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হওয়া এবং ব্যাক পেইন হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার।
ইউরিনের রঙ পরিবর্তন হওয়া বিশেষ করে ডার্ক কালারের ইউরিন বা ইউরিনে রক্ত দেখা দিলে বা ইউরিন ত্যাগের সময় প্রেশার দেবার মত ঘটনা ঘটলে ব্যাপারটি কিডনি রোগের সমস্যার কারণ হতে পারে।
সুতরাং,সাবধান হোন সচেতন হোন।নিয়মিত হেলথ চেকাপ করুন।ডায়াবেটিস,উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন