টাকার ইতিহাস:
প্রায় সাড়ে চার হাজার বছরেরও আগে মিশরে বিনিময় প্রথার প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায়। এর আগে মানুষ অনেক কিছুই টাকা হিসেবে ব্যবহার করেছে। লবণ, কফি বিন, শস্যদানা, গরু ও হাঙরের দাঁত, মূল্যবান পাথরও বাদ যায়নি। সবকিছুকেই বিনিময়ের বস্তু হিসেবে চালিয়েছে প্রাচীনকালের মানুষ। তবে প্রথম মুদ্রার প্রচলন করেন লিডিয়ার রাজা। বর্তমানে যে অংশটি তুরস্কের। এই লিডিয়ার হাত ধরেই প্রথম মুদ্রার দেখা পেয়েছিলো পৃথিবীর মানুষ। তিনি ছিলেন একজন ধনকুবের। কিন্তু আজকে আমরা যে ধরনের মুদ্রা দেখতে পাই শুরুতে এগুলো এরকম ছিলোনা।
ওজনের দিক থেকে মুদ্রা ছিলো অবিশ্বাস্য। ধাতুর তৈরি ২০ কেজি ওজনের মুদ্রার দেখাও মিলেছে। সুইডেনে একসময় মুদ্রার ওজন ছিলো প্রায় ২০ কেজি! অবাক লাগছে তাই না ? লাগারই কথা। এতো ওজনের মুদ্রা মানুষ কিভাবে কিভাবে বহন করতো সেটাও চিন্তার বিষয়। অন্যদিকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম মুদ্রার প্রচলন করেছিলো নেপাল। যার ওজন ছিলো মাত্র ০.০০২ গ্রাম! বহন করার জন্য এটিই ছিলো সবচেয়ে সুবিধার ধাতব মুদ্রা।
মুদ্রার উপর যে ধরনের লেখা থাকতো সেগুলো মূলত এক ধরনের কোড হিসেবে ব্যবহারের জন্য। কারণ, জায়গার অভাবে এতো লেখা সম্ভব ছিলোনা। তাই সংক্ষেপে কোড ব্যবহার করা হতো। আগের আমলে বেশির ভাগ মুদ্রার প্রান্তে খাঁজ কাটা থাকতো। নাহলে অসাধু ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়তে হতো মুদ্রাকে! অসাধু ব্যবসায়ীরা মুদ্রার ভেতর থেকে মূল্যবান ধাতু বের করে ফেলতো বলে শোনা যায়।