সৌদি আরবের বর্তমান পরিস্থিতি:
পর্যবেক্ষন করলে হয়ত কিছুটা অস্থিতিশীলতা পাওয়া যাবে কিন্তু ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়ন করা গেলে এদের ঘুরে দাড়াতে সময় লাগবে না, যা এরা অনেক আগেই করতে পারো তা এখন শুরু করেছে। বিনিয়োগ সুবিধা না থাকায় অবৈধ পথে আয়করা প্রবাসীরা যেভাবে অর্থপাচার করেছে তা যদি আইনগত ভাবে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হত তবে নতুন কোন ভিসন রাখতে হত না সৌদি আরবের।
প্রবাসিদের দেশের দায়িত্বের পর্যায়েও পড়ে যে দেশ আর্তসামাজিক উন্নয়নে বিভিন্নভাবে পাশে দাড়িয়েছিলো এখন তাদের পাশে দাঁড়ানো। আমার মনে হয় দেশ হিসাবে বাংলাদেশ এই কাজটা ঠিক মতই করছে, আর তার ফলশ্রুতিতে দির্ঘ্য সাত বছর বাংলাদেশিদের বন্ধ দুয়ার খুলে গেছে। এখন দেশ হিসাবে আমাদের উচিত সুযোগটা ঠিকঠাক ভাবে ব্যবহার করা। অর্থনীতির এমন অবস্থায় ভারত যদিও তাদের শ্রমিকদের ফেরত নিতে চাচ্ছে সেখানে কিছুটা কম মুল্যে হলেও বাংলাদেশ থেকে আসা দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিক এদেশের উন্নয়নে যেমন অবদান রাখতে পারবেন তেমনি নিজেদের দেশের অর্থনীতিও সমৃদ্ধ করতে পারবেন।
দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা সৌদি সম্পর্কে নেগেটিভ নিউজ প্রকাশ করলেও রেমিটেন্স গ্রাফে এখনঅব্দি সৌদি আরবই এগিয়ে, আসাকরি ভবিষ্যতে এতা আরো জোরালোভাবে এগিয়ে যাবে, সুতারং এধরনের সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকাই উত্তম।
সবশেষে প্রসঙ্গ ভিসা কেনাবেচা, আমরা সুযোগ দিচ্ছি বলেই সৌদিরা আমাদের কাছে ভিসা বিক্রি করছে সেখানে অন্যদেশ থেকে নিজ খরচে শ্রমিক নিয়ে আসে। এর জন্য দরকার, জাতিগত সচেতনতা। এখানে এমনিতেই আইনগতভাবে ভিসা কেনাবেচা নিষিদ্ধ আর অপরাধ হিসাবে গণ্য হলেও আমরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারছি না। সাময়িক লাভের জন্য মানুষ কেনাবেচায় মত্ত হয়ে এখান থেকে দেশে টাকা পাঠানোর উল্টোটা করে দেশ থেকে টাকা নিয়ে আসছি। সুতারং সরকারী পর্যায় থেকে শুধু আইন নয়, বাংলাদেশে এই ব্যাপারে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। যে পরিস্থিতিই হোক আমি কাউকেই এখানে আসতে নিষেধ করবো না। কারন ভিসন ২০৩০ এর রুপরেখায় অদুর ভবিষ্যতে নাগরিক বরাবর সুযোগ সুবিধার সাথে সাথে এখানে নির্বিঘ্নে ব্যাবসা বাণিজ্যও করতে পারবেন। সুতারং দক্ষ হয়ে এখানে আসতে পারলে কয়েকমাস পরেই আপনার নিজ কর্মসংস্থানে সমস্যা হবে না।