এই ফল টি অনেকটা তরমুজের মতন। ড্র্যাগন ফলের উৎপত্তিস্থল আমেরিকা এবং দক্ষিণ এশিয়া। সারা বিশ্বে এই ফলের চাষ হয়। ডাগ্রন ফল শরীরের জন্য বেশ উপকারি এবং এতে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যেমন: ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-৩, লোহা, কার্বনহাইড্রেট, ভিটামিন-বি ১, ফসফরাস,ইত্যাদি। এই ফলটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে দারুন কাজ করে।
ড্র্যাগন ফল খাওয়ার উপকারিতাসমূহ নিচে আলোচনা করা হল:
ওজন কমানো :
ড্র্যাগন ফল খাওয়ার ফলে শরীরে মেদ কম হয়। ড্র্যাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা শরীরের ওজন কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।
হাঁপানি রোগে ড্র্যাগন ফলের সুবিধা:
হাঁপানি, সর্দি, কাশি, স্নায়ু জাতীয় রোগে আমাদের অনেক বড় সমস্যায় ফেলে দেয়, এবং আমাদের প্রতিদিন ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে। এই রোগ শরীরের মধ্যে বৃদ্ধি পেলে অনেক বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। ড্র্যাগন ফলে থাকা ভিটামিন সমৃদ্ধ এই রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। এবং এটাকে খুব একটা বাড়তে দেয় না।
চুলের জন্য ড্র্যাগন ফলের উপকারিতা:
চুল ঝড়ে পরা কমায়। চুলের গড়া মজবুত করে। এতে যে সমস্ত পুষ্টি উপাদান রয়েছে, তা চুল পড়া কমাতে বিশেষভাবে কাজ করে।
কোষ্ঠক্যাঠিন্য দূর করে:
কোষ্ঠক্যাঠিন্য আমাদের একটি বিরক্তিকর সমস্যায় ফেলে দেয়। ড্র্যাগন ফলে জলের মাত্রা প্রচুর হওয়ায় এই ফল ব্যক্তিকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে, এবং কোষ্ঠক্যাঠিন্য দূর করে। এছাড়াও এটি হজম ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ:
ড্র্যাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-বি৩, ফাইবার, ফসফরাস,পাওয়া যায় সাথে সাথেই এই ফলে শরীরে এমন উপাদান থাকে যা শরীরে বিষাক্ত পদার্ধগুলিকে অপসারণ করতে সহায়তা করে। যার ফলে এই ফল সেবন করলে ক্যান্সার রোগ শরীরে জন্মাতে পারে না।
ডায়বিটিজ:
সুগার অথবা ডায়বেটিজ একটি মারাত্নক রোগ। এই রোগকে নিয়মিত চেপে রাখা উচিত। ড্র্যাগন ফলে অনেক ধরনের ভিটামিন ও খনিজ থাকে যা রক্তের সুগারের স্তরকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। এবং শরীরে ইনসুলিন বানায়।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে:
আমাদের জীবনে সুস্থ্ রাখতে হজম প্রক্রিয়া সচল রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ড্র্যাগন ফল হজম পক্রিয়া সচল রাখতে বিশেষভাবে কাজ করে। এই ফলে উপস্থিত ফাইবার খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে।