ছয় দফা সম্পর্কিতঃ
৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬- লাহোরে বিরোধী দলসমুহের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ছয় দফা পেশ।
২৩ মার্চ- ছয় দফার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
৭ জুন- ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস। কারণ 7 জুন ছয় দফা দাবিতে মনু নিয়া সহ ১১ জন শহীদ হন। তাই ৭ জুন ছয় দফা দাবি দিবস।
5 February দাবি পেশ, 8 May মুজিবকে গ্রেফতার করে, 7 Jun কিশোর মনু মিয়া সহ ১১ জন শহীদ হন।।।।।
. ছয় দফা দাবি- >
বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ । ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রের বাইবেলের সাথে তুলনা করা হয় ।
------------------------
১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তান ছিল সম্পূর্ণ অরক্ষিত। নিরাপত্তাহীনতাবোধ এ অঞ্চলের জনগণের কাছে
স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে আরো প্রাসঙ্গিক করে তোলে। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ-পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য লাহোরে পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলোর কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু লাহোরের সম্মেলনে তাঁর ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। সংক্ষেপে দাবিগুলো হলো-
১. ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তানে ফেডারেল রাষ্ট্র কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
২. কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে শুধু প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক বিষয় থাকবে, অবশিষ্ট বিষয়গুলো থাকবে ফেডারেশনের ইউনিটগুলোর হাতে।
৩. দুটি পরস্পর বিনিময়যোগ্য মুদ্রা বা পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক ব্যাংকিং ব্যবস্থাসহ একটি মুদ্রাব্যবস্থা থাকবে।
৪. ফেডারেশনের ইউনিটগুলোর হাতে থাকবে কর ধার্যের ক্ষমতা, তবে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় নির্বাহের জন্য করের একটা নির্ধারিত অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় তহবিল গঠিত হবে।
৫. বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও বৈদেশিক বাণিজ্যের বিষয়ে ফেডারেশনের ইউনিটগুলোর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
৬. প্রদেশগুলোর জন্য আধাসামরিক বাহিনী বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী থাকতে হবে।