কোমর ব্যাথা থেকে মুক্তির উপায়ঃ
১)ব্যাথা শুরু হলে পূর্ণ বিশ্রাম নিন ২/৩ দিন । দীর্ঘদিন বিশ্রাম নিলে ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায়।
২) তীব্র ব্যথা কমে গেলেও ওজন তোলা, মোচড়ানো (টুইসটিং) পজিশন, অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম ও সামনে ঝুঁকে কাজ করা বন্ধ করতে হবে।
৩) সঠিক উপায়ে বসার অভ্যাস করতে হবে এবং প্রয়োজনে ব্যাক সাপোর্ট ব্যবহার করতে হবে।
৪) হাঁটার সময়ে ব্যথা উঠলে বসতে হবে এবং ব্যথা কমলে হাঁটা শুরু করতে হবে।
৫) গরম সেঁক যেমন গরম প্যাড, গরম পানির বোতল ও গরম পানির গোসল নিন
৬) ব্যায়াম-পেশী নমনীয় ও শক্তিশালী হওয়ার ব্যায়াম করতে হবে।
৭) কোমরে বিল্ট (ল্যাম্বো স্যাকরাল কোরসেট) ব্যবহার করা।
৮)নিচ থেকে কিছু তোলার সময় কোমর ভাঁজ করে কিংবা ঝুঁকে তুলবেন না। হাঁটু ভাঁজ করে তুলুন।
৯) একটানা বেশি ক্ষন দাঁড়িয়ে থাকবেন না।
হাঁটু না ভেঙে সামনের দিকে ঝুঁকবেন না।
দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে বা দাঁড়াতে হলে উঁচু হিল পরবেন না।
১০)অনেকক্ষণ দাঁড়াতে হলে কিছুক্ষণ পর পর শরীরের ভর এক পা থেকে অন্য পায়ে নিন।
১১)সোজা হয়ে বসুন।
ভ্রমণে ব্যথার সময় লাম্বার করসেট ব্যবহার করুন।
বসে থাকার সময় আপনার চেয়ারটি টেবিল থেকে বেশি দূরে নেবেন না।
১২)সামনে ঝুঁকে কাজ করবেন না।
১৩)নরম গদি বা স্প্রিংযুক্ত সোফা বা চেয়ারে বসবেন না।
১৪)শোয়ার সময় উপুড় হয়ে শোবেন না। ভাঙ্গা খাট, ফোম বা স্প্রিংয়ের খাটে শোবেন না।
১৫)শোয়ার সময় শক্ত তোশক ব্যবহার করুন।
বিছানা শক্ত, চওড়া ও সমান হতে হবে।
এছাড়াও গরু, খাসির মাংস, ডালজাতীয় খাবার, মিষ্টিজাতীয় খাবার, তৈলাক্ত খাবার খাদ্য তালিকা থেকে কমিয়ে শাকসবজি, তরিতরকারি, ফলমূল খাদ্য তালিকায় বেশি করে রাখুন।
নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করুন এবং যাদের দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস আছে, তা বন্ধ করে রাতে শিগগিরই শুয়ে পড়ুন।
এভাবে কিছু সতর্কতা নিয়ম মেনে চলে কোমর ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
কোন রোগের জন্য কোমর ব্যাথা হলে তার চিকিৎসা নিন।