১/ রক্তদানে কোনো সমস্যা হয় না। কারন একজন সুস্থ মানুষের শরীরে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রক্ত থাকে। যা থেকে সাধারণত ২৫০ থেকে ৪০০ মিলিলিটার রক্ত দান করা হয়, যা শরীরে থাকা মোট রক্তের মাত্র ১০ ভাগের এক ভাগ। রক্তের মূল উপাদান পানি, যা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পূরণ হয়।
২/ রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। রক্তদানের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ‘বোনম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়।
দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্তকণিকা জন্ম হয় এবং ঘাটতি পূরণ হয়ে যায় ।
৩/ বছরে তিনবার রক্তদান শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে তোলে যা নতুন কণিকা তৈরির হার বাড়ায়।
৪/ নিয়মিত রক্তদানকারীর হার্ট ও লিভার ভালো থাকে।
৫/ স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে পাঁচটি পরীক্ষা সম্পূর্ণ বিনা খরচে করা হয়। এর মাধ্যমে জানা যায় শরীরে অন্য বড় কোনো রোগ আছে কি না। যেমন—হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, এইচআইভি (এইডস) ইত্যাদি।
৬/ রক্তদান অনেক ক্ষেত্রে ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়তা করে।
৭/ রক্তে কোলস্টেরলের উপস্থিতি কমাতে সাহায্য করে।
৮/ শরীরে অতিরিক্ত আয়রনের উপস্থিতিকে বলে Hemochromatosis। নিয়মিত রক্তদান এই রোগ প্রতিরোধ হয় ।
৯/ স্থূলদেহী মানুষের ওজন কমাতে রক্তদান সহায়ক ভূমিকা পালন করে ।
১০/ মুমূর্ষুকে রক্ত দিলে মানসিক তৃপ্তি মেলে।