বাংলাদেশ বিষয়াবলীতে রিটেনে ভাল করার উপায়।
বাংলাদেশ বিষয়াবলী যতটা না সহজ ঠিক ততটাই কঠিন কারণ বাংলাদেশ বিষয়াবলীতে বিকল্প প্রশ্ন থাকে না। যতগুলো প্রশ্ন অাসবে সবগুলোরই উত্তর করতে হবে। অাপনি চাইলে এটা বাংলা বা ইংরেজিতে লিখতে পারবেন।
এই বিষয়ে অাপনি ভাল করে সবগুলো লিখে অাসতে পারলে অাপনি অনেক নাম্বার পাবেন। ৩৫তম বিসিএস এ এক বড় ভাই বাংলাদেশ বিষয়াবলীতে ১৬০ নাম্বার পেয়েছিল।
ভাল করার জন্য কি করবেন?
এখানে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে অনেকেই সব উত্তর করতে পারে না সময়ের অভাবে। প্রথম দিকে বেশি সময় ব্যয় করে শেষের দিকে এসে ১ ঘন্টায় অর্ধেক উত্তর করে যার কারণে প্রত্যাশিত মার্ক পায় না। অাপনাকে
৫ মার্কের প্রশ্ন ৫*১.২ = ৬ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে লিখে । অাপনি যদি ৬ মিনিটের জায়গায় কমন পড়াতে ১০ মিনিট লিখেন তাহলে অাপনি নিশ্চিত থাকুন অাপনি কখনোই শতভাগ ভালভাবে উত্তর করতে পারবেন না।
একই ভাবে, ১০ মার্কের প্রশ্ন ১২ মিনিটে, ১৫ মার্কের প্রশ্ন ১৮ মিনিটে এবং ২০ মার্কের প্রশ্ন ২৪ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে অাপনাকে। এর বেশি সময় ব্যয় করে উত্তর করা ভাল হবে না।
কী পড়বেন এবং কোথায় থেকে পড়বেন?
সিলেবাসে ৫০ মার্ক মুক্তিযুদ্ধ ও এর পটভূমি উপর বরাদ্দ। তাই এই বিষয়ে কম সময়ে অধিক নাম্বার পেতে হলে নবম দশম শ্রেণির বই থেকে মুক্তিযুদ্ধের উপর একটি অধ্যায় আছে ওইটা ভাল করে পড়ে নেন। ৩৮তম বিসিএস মুক্তিযুদ্ধের উপর যে প্রশ্নগুলো এসেছিল তা ওই বই থেকে খুবাখুব তুলে দিয়েছিল। ওই বইটার সাথে নেট থেকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবেন।
সংবিধান থেকে প্রতিবছরই ৩০-৬০ মার্ক পর্যন্ত এসে থাকে রিটেনে। তাই সংবিধানের উপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে পড়ুন। মনে রাখবেন সংবিধানের সব অনুচ্ছেদ অাপনাকে মুখস্থ করতে হবে না এবং সরাসরি অনুচ্ছেদে যা অাছে তাও লিখতে হবে না। অনুচ্ছেদ পড়ে যা বুঝতে পারছেন তা লিখবেন নিজের ভাষায়। সংবিধানের প্রস্তাবনা, বৈশিষ্ট্য, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, মৌলিক অধিকারসমূহ ও সংশোধনী সমূহ একটু ভাল করে পড়ে যাবেন।
রাষ্টের Organ সমূহ অর্থাৎ নির্বাহী বিভাগ, অাইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যাবেন নেট থেকে। নেটে সুন্দর করে সব বিভাগের কাজ ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে লেখা অাছে পড়ে যাবেন সাথে নাইন টেনের বইটা থেকে পড়তে পারেন। সংবিধানেও তিন বিভাগের কাজ সম্পর্কে বলা অাছে।
বাংলাদেশের ভূ প্রকৃতি সম্পর্কে নাইন টেনের বইয়ে একটি অধ্যায় আছে ওইটা পড়লেই হবে।
বাকী প্রশ্নগুলো উত্তর করতে হলে
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটা বক্তব্য খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ে নোট করবেন।
বাজেটের সময় মাননীয় অর্থ মন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা এর প্রথম অংশটা ভাল করে পড়বেন এবং সাথে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ সম্পর্কে জানবেন।
এই বিষয়ে ভাল করতে হলে অাপনাকে অবশ্যই কৌশলগত পরিকল্পনা করে এগিয়ে যেতে হবে কারণ এখানে পড়ার শেষ নাই