কায়েস সাইদের শপথ; আরব বসন্তের নতুন কুড়ি
আবর বসন্তের সূতিকাগার তিউনেশিয়ায় সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সাইদ কাইস শপথ নিয়েছেন। শপথ পরবর্তী ভাষনে তিনি দূর্নীতির বিরুদ্ধে আপসহীন থাকার দীপ্ত ঘোষণা দেন। প্রেসিডেন্ট সাইদ বলেন, যখন আমার দেশের হাজার হাজার যুবক বেকার তখন রাষ্ট্রের একটি পয়সাও আমি অপচয় হতে দেব না। দেশটির সবশেষ নির্বাচনে বিজয়ী ইসলামপন্থী আননাহদার সমর্থীত প্রার্থী তৃতীয় অবস্থানে চলে যাওয়ায়, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে আননাহদা সাইদকে সমর্থন দেয়।
এদিকে,বিপ্লব পরবর্তী তৃতীয় নির্বাচনে সবচেয়ে বড় দল হিসেবে আবার ফিরে এসেছে আননাহদা। যদিও তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় নি, তবে সবচেয়ে বেশী আসন পেয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছে। ফলে কোয়ালিশন সরকার গঠন করবে আননাহদা। দলটির প্রধান রশিদ ঘানুচি সারা বিশ্বে একজন বিচক্ষণ ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ হিসেবে সমাদৃত। তিনি তার সহনশীল রাজনীতির মাধ্যমে সকল আঞ্চলিক অস্থিরতা থেকে দলকে ও দেশকে বাচিয়ে রেখেছেন।প্রথমবার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও বামপস্থী মুন্সসেফ মারকুজিকে প্রেসিডেন্ট পদে সমর্থন দিয়েছিলেন এবং জোট সরকার গঠন করেছিলেন।পরবর্তীতে সেক্যুলার নিদা টিউনস সরকার গঠন করলেও তাদের সাথে জোট করে আননাহদা। সরকারি দলে ভাঙ্গন দেখা দিলেও সংসদে সরকারকে সমর্থন দিয়ে টিকিয়ে রাখে আননাহদা। আগে দল সরকার গঠন করলেও সরকারে কোন পদ নেননি রশিদ ঘানুচি। ধারনা করা হচ্ছে নতুন জোট সরকারে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করবেন। আরো বেশী দলের সমন্বয়ে গঠিত জোটের প্রধান কাজ হবে দেশকে রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে বাচিয়ে রাখা ও অর্থনৈতিক সমস্যার দ্রুত সমাধান করা। তিউনেশিয়া যদি নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণের মাধ্যমে দেশটি বেকারত্ব দূর করতে পারে, অর্থনীতিতে গতি আনতে পারে তবে তা আলো দেখাবে পুরো অঞ্চলকে। আরব বসন্তের সুতিকাগার দেশটি এখন আরব বিশ্বে গনতন্ত্রের পরীক্ষাগার। তিউনেশিয়ায় গনতন্ত্রের বিজয় আরব বিশ্বে আরেক বসন্তের বার্তা দিবে। বর্ষীয়ান একাডেমিক ও বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ সাইদ কায়েস ও রশিদ ঘানুচির কাধে শুধু দেশ নয় পুরো অঞ্চলের রাজনীতির গবেষনাগারের দায়িত্ব।