তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
1898 খ্রিষ্টাব্দের জুলাই 24 পশ্চিম বঙ্গের বীরভুম লাভপুর গ্রামে জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা-মায়ের নাম হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রভাবতী দেবী। তাদের বাড়িতে নিয়মিত কালী ও তারা মায়ের পুজো হতো। তার বাবা মা দুজনেই ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ ও আদর্শনিষ্ঠ। তারাশঙ্করের জন্মগ্রহণ করার আগে প্রভাবতী দেবী ও হরিদাসের জ্যেষ্ঠপুত্রের মৃত্যু হয়। তাই তাদের পরিবারে তারা মায়ের পুজো শুরু হওয়ার ঠিক দশমাস পরে তারাশঙ্করের জন্ম হয়৷তিনি মায়ের দয়ায় জাত হয়েছিলেন বলেই তার নাম রাখা হয় তারাশঙ্কর। তারাশঙ্কর ছোটবেলায় মাদুলি, তাবিচ, কবচ এবং বহু সংস্কারের গন্ডিতে বড় হয়ে ওঠেন। আসলে সততা, ধর্মভাব, ভক্তি ও ধর্মশাস্ত্রীয় বিশ্বাস তিনি পেয়েছিলেন মায়ের কাছ থেকে। যদিও পরবর্তী জীবনে এ সব বিশ্বাস নিয়ে অনেক দ্বিধা দ্বন্দ্ব ও জিজ্ঞাসা তার মনকে আলোড়িত করেছে। প্রগতিশীল চিন্তার শরিক হয়েছেন। তারাশঙ্করের বাল্যজীবন কাটে গ্রামের পরিবেশেই গ্রামের স্কুল থেকে।
বিংশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক ছিলেন।
** তার সামগ্রিক সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে ৬৫টি উপন্যাস, ৫৩টি গল্পগ্রন্থ, ১২টি নাটক, ৪টি প্রবন্ধের বই, ৪টি আত্মজীবনী এবং ২টি ভ্রমণ কাহিনী।
** পুরুষ্কার: রবীন্দ্র পুরুষ্কার, সাহিত্য একাডেমী পুরুষ্কার, জ্ঞানপীঠ পুরুষ্কার এবং পদ্মভুষণ পুরস্কারে পুরস্কৃত হন।
তার জন্ম - 24 জুলাই 1898 সালে
মৃত্যু - 14 ই সেপ্টেম্বর 1971 সালে
****গ্রন্থাবলী
নিশিপদ্ম,ব্যর্থ্য নায়িকা ,বিচারক,পরিয়াধ
ডাইনি, একটি প্রেমের গল্প,নীলকন্ঠ,সন্ধ্যা মনী,অভিযান ইত্যাদি।
**নাটকঃ দিপান্তর,পথের ডাক,দুই পুরুষ