স্যাটেলাইট তিন(০৩) প্রকার,
ক। লো-আর্থ অরবিট (LEO-Low Earth Orbit)
খ। মিডিয়াম আর্থ অরবিট (MEO- Medium Earth Orbit)
গ। জিওস্টেশনারি আর্থ অরবিট (GEO-Geostationary Earth Orbit)
১.লো-আর্থ অরবিট
লো-আর্থ অরবিট এর স্যাটেলাইট পৃথিবীর পৃষ্ঠ হতে ১৬০-২,০০০ কি.মি.
উপড়ে অবস্থান করে । যে স্যাটেলাইটগুলো দ্বারা পৃথিবীকে
পর্যবেক্ষণ করা হয় সাধারণত সেই স্যাটেলাইটগুলোকেই এই কক্ষপথে
রাখা হয় । যেহেতু এই স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবী পৃষ্ঠের খুব কাছাকাছি
অবস্থান করে তাই এই স্যাটেলাইটগুলো দ্বারা প্রায় নিখুঁত ভাবে পৃথিবীকে
পর্যবেক্ষণ করা যায় । এই কক্ষপথেই আন্তর্জাতিক স্পেস ষ্টেশনের
অবস্থান ।
২.মিডিয়াম আর্থ অরবিটঃ
মিডিয়াম আর্থ অরবিটের স্যাটেলাইট পৃথিবীর পৃষ্ঠ হতে ২০,০০০ কি.মি.
উপড়ে অবস্থান করে । এই কক্ষপথের স্যাটেলাইটগুলো পাঠাতে
অনেক শক্তির দরকার পরে । মিডিয়াম আর্থ অরবিটের স্যাটেলাইটগুলোর
গতিবেগ খুবই মন্থর হয়ে থাকে । মোট ১২টি মিডিয়াম আর্থ অরবিটের
স্যাটেলাইট দিয়ে পুর পৃথিবীতে সংযোগ করা যায়, এর সংখ্যা জিওস্টেশনারি
আর্থ এর থেকে বেশি কিন্তু লো-আর্থ এর তুলনায় বেশ কম হয় । এই
কক্ষপথে সাধারণত জিপিএস স্যাটেলাইটগুলো থাকে ।
৩.জিওস্টেশনারি আর্থ অরবিটঃ
জিওস্টেশনারি আর্থ অরবিটের স্যাটেলাইট পৃথিবীর পৃষ্ঠ হতে ৩৬,০০০
কি.মি. উপড়ে অবস্থান করে । এই স্যাটেলাইটের ক্ষমতা অনেক বেশি হয়
। টিভি এবং রেডিও ট্রান্সমিশনে এর কাজে জিওস্টেশনারি আর্থ অরবিট ব্যাবহার
করা হয় ।