ক্ষনস্থায়ী এই পৃথিবীতে মানুষ আসে অতি সল্প সময়ের জন্য, মানুষ আসে মানুষ যায়! এর মাঝে খুব কম মানুষেই মৃত্যুর পরও বেছে থাকে মানুষের হৃদয়ে। তেমনি একজন এই কিছু দিন আগেও ছিলেন আমাদের পাশে আমাদের মাঝে ক্ষুদ্রতম জীবনে স্বল্পতম সময়ে, যিনি আসন
কেড়েছেন লাখো মানুষের হৃদয়ের ওলিন্দে। কিন্তু নির্মম এক সড়ক দুর্ঘটনার মর্মান্তিক পরিনতিতে সুগন্ধ ছড়ানো প্রস্ফুটমান একটি ফুল ঝরে গেলো পুর্ন বিকশিত হওয়ার আগেই। মহান আল্লাহর ইচ্ছায় গত ১৮ জুন ২০১০ শুক্রবার তার দেহ আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিলেও তার মমতা মাখানো সুরের ছোঁয়ায় আজো মানুষ
বিমহিত, বিমগ্ধ, অনুপ্রানিত।ইসলামী সংগীত ও সংস্কৃতির বিজয় কেতন উড়ানো যাদের নিত্য প্রয়াস, তিনি
ছিলেন তাদের অন্যতম। তিনি আর কেউ নন- আমাদের সকলের প্রিয় আইনুদ্দীন আল আজাদ (রহঃ) ইসলামী সংগীত ও সংস্কৃতি অঙ্গনে তার অবদান অনস্বীকার্য। শুধু তাই নয় একজন তরুন আলেম হিসাবে সাড়া জাগানো বয়ানের মাধ্যমে তিনি গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করেছেন অল্প সময়ের মধ্যে। মহান প্রতি পালক আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর দরবারে কায়নুবাদে প্রার্থনা করি
হে আল্লাহ আপনি মরহুম আইনুদ্দীন আল আজাদ (রহঃ) কে জান্নাতের উঁছু মর্যাদায় আসীন করুন। এবং তার রেখে যাওয়া স্ত্রী সহ দুইসন্তান রুহি ও গালিবের জীবন কে সাফল্য মন্ডিত ও উজ্জ্বল করুন। আমীন।
তার একটি গজল নিম্নে লেখা হলঃ
কি হবে যুবক নামের বোঝা হয়ে এই দেশেতে?
যেখানে মা-বোনেরা ধর্ষিত হয় দিনে রাতে!
যৌবনের সার্থকতা, বুঝবে সকল ব্যাথা,
যদি পারো বলি দিতে মানুষরূপী পশুটাকে!
কি হবে বেঁচে থেকে?
____আইনুদ্দীন আল আজাদ