.
Achievement of MDG
-Signatory Countries- 189
-Goal- 8
-Target- 21
-Indicators- 60
-বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছিল- UNDP
-গৃহীত হয়, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০০ সালের জাতিসংঘের ৫৫ তম সাধারণ অধিবেশনে ১। দারিদ্র ও ক্ষুধা নির্মুল করাঃ (To eradicate extreme poverty and hunger) লক্ষ্য ছিল- ২০১৫ সালের মধ্যে অর্ধেক। ১৯৯১ সালে ছিল-৫৭.৬০%, যা ২০১৫ সালে হয় ২৪.৮০%। (অর্জিত হয়)। দারিদ্র্য দূরীকরণে ২০১৩ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী South South পুরস্কার লাভ করেন। দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশের সফলতা বিবেচনায় নিয়ে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা(এফএও) বাংলাদেশকে ২০১৩ সালে ‘ডিপ্লোমা অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত করে এবং বাংলাদেশের ক্ষুধা নির্মূলের প্রচেষ্টাকে বিশেষ স্বীকৃতি দেয়।
২। সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষাঃ (To achieve universal primary education) লক্ষ্য ছিল- ২০১৫ সালের মধ্যে ৮১ শতাংশ করা। ১৯৯১ সালে ছিল-৪৩শতাংশ। যা ২০১৫ সালে ৯৭ শতাংশ ছড়িয়ে যায়। (অর্জিত হয়)
৩। নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করাঃ (To promote gender equality) প্রাথমিকে মেয়ে শিশু ভর্তির হার ৫১ শতাংশ, মাধ্যমিকে - ৫৩ শতাংশ। (অর্জিত হয়) নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষা বিস্তারে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ২০১৪ সালে ‘UNESCO Peace Tree Award’-এ ভূষিত হয়েছে।
৪। শিশুমৃত্যু হ্রাসঃ (To reduce child mortality) লক্ষ্য ছিল-২০১৫ সালের মধ্যে ৪৮ জনে নামিয়ে আনা । ১৯৯০ সালে ৫ বছরের নিচের শিশু মৃত্যুর হার ছিল ১৪৬ জন। ২০১৩ সালেই প্রতি হাজারে ৪৬ জনে নেমে আসে। (অর্জিত হয়)
এর জন্য প্রধানমন্ত্রী ২০১০ সালে MDG পুরস্কার লাভ করেন।
৫। মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নয়নঃ (To improve maternal health) লক্ষ্য ছিল- প্রতি বছর ৩ শতাংশ করে কমানো। ১৯৯০ সালের প্রতি লক্ষের মাতৃ মৃত্যুহার ৫৭৪ জন হতে ২০১৩ সালে ১৭০ এ নামিয়ে আনা সম্ভব হয়। অর্থাৎ, কমেছে গড়ে ৩.০৬% হারে। (অর্জিত হয়)। ২০১১ সালে মহিলা ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ South South Award 2011 : Digital Development Health পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।
৬। এইডস, ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য রোগের বিস্তার রোধ করাঃ (To Combat HIV/AIDS, malaria and other diseases) বাংলাদেশে এইডস সংক্রমণের হার ০.১ শতাংশ, যা স্বাভাবিকের নিচে। ২০০৮ সালে ম্যালেরিয়া ছিল প্রতি লাখে ৭৭৭ জন যা ২০১৫ সাল শেষে ৪৩৪ জন হয়। ১৩ টি উচ্চ ম্যালেরিয়া ঝুঁকি সম্পন্ন জেলায় পতঙ্গ-নিরোধক রাসায়নিকযুক্ত মশারি ব্যবহারকারী পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা ২০০৮ সালের ৮১ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৪ সালে ৯২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। উপযুক্ত ম্যালেরিয়ারোধী ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়েছে জ্বরাক্রান্ত পাঁচ বছরের কম বয়সী এমন শিশুর সংখ্যা ২০০৮ সালে ছিল ৬০ শতাংশ, ২০১৪ সালে এ হার ১০০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।অন্যদিকে ১৯৯০ সালে যক্ষ্মা রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল প্রতি ১ লাখে ৮০; ২০১৪ সালে এসে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১-এ। (আংশিক অর্জিত হয়)
৭। টেকসই উন্নয়ন নীতিমালা ও পরিবেশ রক্ষাঃ (To Ensure environment sustainability) পরিবেশগত স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারলেও বেশকিছুটা উন্নতি হয়েছে এবং জলবায়ু ও পরিবেশগত অবস্থার অবনতি হয়নি। ১৯৯০ সালে দেশে বনাচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক শূন্য শতাংশ; যা ২০১৪ সালে ১৩ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সংরক্ষিত ভূমি ও জলাশয়ের পরিমাণ বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯১ থেকে ১ দশমিক ৮১ শতাংশ। ১৯৯০ সালে জনসংখ্যার ৭ দশমিক ৮শতাংশ বস্তিতে বাস করত; বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশে। (অর্জিত হয় নি)
৮। উন্নয়নের জন্য এক আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলাঃ (To develop a global partnership for development)
‘The Rise of the South’ শীর্ষক জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন-২০১৩-এ বলা হয়েছে, এমডিজি অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে, এমন ১৮ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।