টিটি টিকার পদ্ধতি ও কার্যক্রম সংক্রান্ত কিছু তথ্যঃ
______________________________________
মাতৃগর্ভে শিশুর বেড়ে ওঠাটা পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কারণ মানব সভ্যতার কোনো ইতিহাস সূচিত হত না যদি এই ব্যাপারটি ঠিকমত না ঘটত। একটি সুস্থ ও সবল শিশুর পূর্বশর্ত সুস্থ মা।
মা হিসেবে একটি মেয়ের বেড়ে ওঠা কিন্তু বিয়ে বা গর্ভধারণের অনেক আগ থেকে শুরু হয়। মেয়েদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি টিকা হচ্ছে টিটি টিকা যা তাদের পনের বছর বয়স থেকে শুরু করতে হয়।
আসুন জেনে নেই বাংলাদেশ প্রচলিত টিটি টিকার পদ্ধতি ও কার্যক্রম সংক্রান্ত কিছু তথ্য।
১৫ বছর বয়স হলেই টিটি টিকা নেয়া শুরু করুন এবং সিডিউল অনুযায়ী ৫ ডোজ টিটি টিকা নেয়া শেষ করুন।
টিটি টিকা নিয়ে নবজাত শিশু ও মা কে ধনুষ্টংকারের হাত থেকে রক্ষা করুন।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিটি টিকার একটি কার্ড করে নিন। কার্ডটি যত্ন করে রাখুন। যখনি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা টিকাদান কেন্দ্রে যাবেন টিটি টিকার কার্ডটি অবশ্যই সাথে নিবেন।
রেজিস্ট্রেশনের সময় মাঠকর্মী প্রথমবার টিটি টিকা পাওয়ার তারিখ লিখে দিবেন। পরবর্তী টিকা পাওয়ার তারিখগুলো কেন্দ্রে টিকা প্রদানের পর লিখে দিবেন।
টিটি টিকার ডোজ ও সিডিউল:
টিটি ১: ১৫ বছর বয়স হলেই।
টিটি ২: টিটি ১ পাওয়ার কমপক্ষে ২৮ দিন পর।
টিটি ৩: টিটি ২ পাওয়ার কমপক্ষে ৬ মাস পর।
টিটি ৪: টিটি ৩ পাওয়ার কমপক্ষে ১ বছর পর।
টিটি ৫: টিটি ৪ পাওয়ার কমপক্ষে ১ বছর পর।