বীজ থেকে যেমন গাছ জন্মায়,তেমন ভাবে বাংলা ভাষারও জন্ম হয়েছে। তবে কোথা থেকে এসেছে
এটা জানতে আমাদের যেতে হবে বহু বছর পুর্বে,সংস্কৃত ভাষার অনেক শব্দ বাংলা ভাষায় ব্যবহার হত বলে ঊনিশ শতকে অনেকে মনে করত,যে ওই সংস্কৃত ভাষাই বাংলার জননী। বাংলা সংস্কৃতের কন্যা।
তবে তখন কারই এক দল লোক ছিল যারা মনে করত বাংলা ভাষা সরাসরি সংস্কৃত থেকে থেকে আসেনি। এসেছে অন্য কোন ভাষা থেকে। সংস্কৃত ছিল সমাজের উঁচুশ্রেণির মানুষের লেখার ভাষা। ওই ভাষায় কথা বলা হত না। কথা বলা হত নানা রকম ‘প্রাকৃত’ ভাষায়।মানুষেরা দৈনন্দিন যে ভাষায় কথা বলত তাকেই প্রাকৃত ভাষা বলে। তারা বিশ্বাস করত যে, সংস্কৃত থেকে নয়, প্রাকৃত ভাষা থেকেই উদ্ভব ঘটেছে বাংলা ভাষার।তবে কোন প্রাকৃত ভাষা থেকে? ভারত বর্ষে অনেক প্রাকৃত ভাষা ছিল!
এ ব্যাপারে জর্জ আব্রাহাম গ্রিয়ারসন একটি প্রকৃতের নাম বলেন,সেটি হচ্ছে (মাগধী) প্রাকৃত। তাঁর মতে, মাগধী প্রাকৃতের কোনো পূর্বাঞ্চলীয় রূপ থেকে
জন্ম নেয় বাংলা ভাষা।
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ বাংলা ভাষার উৎপত্তি সম্পর্কে অবশ্য একটু ভিন্ন মত পোষণ করেন। তিনি একটি প্রাকৃতের নাম বলেন গৌড়ী প্রাকৃত। তিনি মনে করেন, গৌড়ী প্রাকৃতেরই পরিণত অবস্থা গৌড় অপভাষা থেকে উৎপত্তি ঘটে বাংলা ভাষার।