প্রাকৃতিক স্বাস্থ্য চর্চা নিন্মরুপ:১. গোলাপ ফুল, মধু ও নারকেল তেলের :গোলাপ ফুলে রয়েছে প্রাকৃতিক আলফা-হাইড্রোক্সি অ্যাসিড যা ত্বককে করে তোলে ফ্রেশ এবং ত্বকের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে। একটি পুরো গেলাপ ফুল দুই কাপ পানিতে সিদ্ধ করে অর্ধেক কাপে পরিণিত করতে হবে। এরপর এর সাথে দুই চা-চামুচ মধু ও নারকেল তেল যোগ করুন । ব্যাস ঘরেই তৈরি হয়ে গেল আপনার প্রকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি আপনি নিয়মিত মুখ ও ঘাড়ে প্রয়োগ করতে পারেন। নিয়মিত প্রয়োগ করলে এটি আমাদের ত্বককে ফ্রেশ, নরম এবং উজ্জ্বল করে।
২. নিম ও চন্দনের:
এটি খুবই জরুরী যে, অন্তত দুই তিন দিন পর পর আপনার ত্বকে ম্যাসাজ করা প্রয়োজন।এটি ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে এবং ত্বককে কোমল করে তোলে। এক্ষেত্রে অশ্বগন্ধা, নিম, চন্দন একসাথে মিশিয়ে ব্যাবহার করতে পারেন। এর সাথে যোগ করতে পারেন সূর্যমূখী ফুলের বীজ,অ্যালোভেরা ।এটি আমাদের ত্বকের একটি অবিশ্বাস্য পরিবর্তন আনতে পারে এবং চামড়া তাড়াতাড়ি ঝুলে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
৩. লেবু এবং পেঁপের:
পেঁপে আমাদের স্বাস্থ্য এবং ত্বকের জন্য আশ্চার্য রকমের উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং এফ যা আমাদের ত্বককে করে তোলে কোমল। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের একটি ভাল উৎস।পাঁকা পেঁপে ভালো ভাবে পিষে নিন এবং এর সাথে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি আপনার মুখে মেখে ১৫ মিনিট রেখে দিন এবং হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনি পাবেন মশ্চারাইজড এবং উজ্জ্বল ত্বক।
৪. গোলাপের পাঁপড়ি ও দুধের :
এই গরমে সূর্যের তাপ আমাদের ত্বককে রুক্ষ করে দেয় । তাই এর হাত থেকে রক্ষা পেতে সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যান্ত জরুরী । রুক্ষ বাতাস আমাদের ত্বকের আদ্রতা কেড়ে নেয় । তাই গোলাপের পাঁপড়ি পিষে এর সাথে কাঁচা দুধ মিশিয়ে একটি ময়েশ্চারাইজার বানাতে পারেন। এটি আমাদের ত্বকের সঠিক আদ্রতা ধরে থাকে এবং ত্বক রুক্ষ হওয়া থেকে রক্ষা করে।
৫.অ্যালোভেরার :যা আমাদের চেহারায় বয়সের ছাপ কমায়। শুধুই অ্যালোভেরার জেল আমরা ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারি । এটি সরাসরি বা অল্প পানি মিশিয়ে ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখুন ত্বকের রুক্ষতা নিমিষেই দূর হয়ে গেছে আর ফিরে এসেছে ত্বকের আদ্রতা।